নাটকে মোড়া ম্যাচ। এএফসি কাপের ম্যাচে মাজিয়া এফসিকে ২-১ গোলে হারালো মোহনবাগান। দুটো গোলই করেন বিশ্বকাপার জেসন কামিংস।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে কামিংসকে পাস দেন হুগো বুমৌস। তারপর গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন কামিংস। বারে লেগে বল চলে যায় মাজিয়ার গোলের ভিতর। এরপর ৩৪ মিনিটে গোল খেতে খেতে বেঁচে যায় মোহনবাগান। ৪১ মিনিটে কামিংস কিছুটা মেসির ভঙ্গিমায় পেনাল্টি মারার চেষ্টা করেন। ডিরেক্ট পেনাল্টি না মেরে পাস দেন দিমিত্রিকে। কিন্তু মাজিয়ার ডিফেন্ডার সজাগ থাকায় বল বাইরে বের করে দেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে গোল খায় মোহনবাগান। মাজিয়ার হয়ে সমতা ফেরান জাপানি তারকা। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে মোহনবাগান। ৫৪ ও ৫৬ মিনিটে মনবীর আর সাদিকুর দু'জনই গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। ৬৪ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করে মোহনবাগান । সাহাল আবদুল সামাদ এবং শুভাশিস বোসকে নামান মোহনবাগানের কোচ হুয়ান ফেরান্দো।
৭৪ মিনিটে সুযোগ পায় মাজিয়া। তবে বিশাল কাইথ দারুন সেভ করেন। আর ৭৯ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে কাটব্যাক করে ঢুকে বাঁ-পায়ে দুরন্ত শট মনবীর সিংয়ের। তবে বাঁচিয়ে দেন মাজিয়ার গোলকিপার হুসেন শরিফ। ৮০ মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন লিস্টন কোলাসো। তবে ইনজুরি টাইমের ৯৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে মোহনবাগানকে ৩ পয়েন্ট এনে দিলেন কামিংস।
তবে মাজিয়ার রক্ষণভাগের প্লেয়াররা একের পর এক সেভ করেছে। সাথে গোলকিপার শরিফের প্রশংসা করতেই হবে। শরিফ যদি একাধিক সেভ না করতেন তাহলে বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তো মোহনবাগান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন