অ্যানফিল্ডের বন্ধুত্বটা কিছু সময়ের জন্য ভুলে আফ্রিকা কাপ অফ নেশনসের খেতাব জয়ের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন মহম্মদ সালহা এবং সাদিও মানে। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে লিভারপুলের দুই কিংবদন্তী মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশকে শিরোপা এনে দেওয়ার জন্য। টান টান উত্তেজনার ম্যাচ পৌঁছায় টাইব্রেকারে। সেখানে মহম্মদ সালহাকে কাঁদিয়ে শিরোপা জিতে নেয় মানের দল। সেনেগাল ৪-২ গোলে টাইব্রেকার জেতে। প্রথমবারের জন্যে আফকন শিরোপা জেতে মানের সেনেগাল।
সেনেগালকে বলা হয় তেরঙ্গার সিংহ। সিংহের মতোই পুরো টুর্নামেন্টে দাপট দেখায় সিসের তারকা খচিত দল। অন্যদিকে আন্ডারডগ হিসেবে আফকন কাপ খেলতে নামা ইজিপ্টকে কার্যত একা হাতে ফাইনালে নিয়ে আসেন মহম্মদ সালহা। এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ শুরু করে সেনেগাল। ক্যামেরুনের পল বিয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি উপহার পায় তারা। তবে সেনেগাল সেনসেশন সাদিও মানে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। ইজিপ্ট গোলরক্ষক মোহমেদ আবুবাগল দুরন্ত ভাবে পেনাল্টি সেভ করেন।
পেনাল্টি মিস হলেও প্রথমার্ধে বারংবার আক্রমণ চালায় তেরঙ্গার সিংহরা। প্রথম ৩০ মিনিটেই অন্তত ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতো তারা। তবে সাদিও মানে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগাল দাপট দেখালেও আবুবাগল অক্ষত রাখেন ইজিপ্টের জাল।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ইজিপ্টের জাল খুঁজে পাননি মানেরা। অবশেষে খেলা পৌঁছায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বাজিমাৎ করেন সেনেগাল গোলরক্ষক মেন্ডি।
২০০২ সালে সিসের পেনাল্টি মিসেই প্রথম আফকন ফাইনালে হেরেছিলো সেনেগাল। এবার ম্যানেজার হিসেবে সেই খরা কাটালেন সিসে। ২০১৭ সালের পর আবার আফকনের ফাইনাল হারা সালাহর চোখ ভেঙে পড়েছে কান্নায়। জাতীয় দলের শিরোপা জেতার অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো লিভারপুল কিংবদন্তীর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন