মাত্র আর কিছুদিন বাকি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের। মোট ৮টি স্টেডিয়ামে মেসি-রোনাল্ডো সহ বিশ্বের সেরা তারকারা খেলবেন। স্টেডিয়ামগুলি বানাতে খরচ হয়েছে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। তারই মধ্যে একটি স্টেডিয়াম হলো আল জনাব স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামের কিছু খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।
আল জনাব স্টেডিয়ামের আগে নাম ছিল আল ওয়াকরহ। কাতারের একটি পুরনিগম হল আল ওয়াকরহ। ২০১৯ সালে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয় স্থানীয় টুর্নামেন্ট আমির কাপের জন্য। ইরাকি-ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট জাহা হাদিদ মার্কিন সংস্থা AECOM-র সহযোগিতায় স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করেন। ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত সময় লাগে স্টেডিয়ামটি বানাতে।
স্টেডিয়ামটির আকৃতি অনেকে অনেক রকম বলেন। সাধারণত পারস্য উপসাগরে ভাসমান ঐতিহ্যবাহী ধৌ নৌকার পালের মতো আকৃতি দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে দর্শকরা স্টেডিয়ামে বসেই নৌকার অনুভূতি নিতে পারবেন। ছাদের দৈর্ঘ ২৩০ মিটার। কাতারের এই স্টেডিয়ামের অন্য একটি বিশেষত্ব হলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। দর্শকাসনে ১৮ ডিগ্রি ও খেলার মাঠে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজনে করা যেতে পারে। বিশ্বকাপে মোট ৪০,০০০ দর্শক একসাথে বসে খেলা দেখতে পারবেন।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের মোট সাতটি ম্যাচ হবে এই স্টেডিয়ামে। ২২ নভেম্বর হবে ফ্রান্স বনাম অস্ট্রেলিয়া। ২৪ নভেম্বর হবে স্যুইজারল্যান্ড বনাম ক্যামেরুন। তিউনিসিয়া বনাম অস্ট্রেলিয়া খেলবে ২৬ নভেম্বর। ২৮ নভেম্বর হবে ক্যামেরুন ও সার্বিয়ার মধ্যে ম্যাচ। ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ম্যাচ হবে ৩০ নভেম্বর। ২ ডিসেম্বর হবে গ্রুপ এইচ-এ থাকা ঘানা ও উরুগুয়ের মধ্যে। আর আল জানাব স্টেডিয়ামের শেষ ম্যাচ হবে ৫ ডিসেম্বর রাউন্ড ১৬-র ম্যাচ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন