২০০২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে সেনেগাল। দলের অধিনায়ক ছিলেন অ্যালিউ সিসে। সেবার 'তেরাঙার সিংহ'-রা পৌঁছে গিয়েছিল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে। দীর্ঘ কুড়ি বছর পর ফের একবার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে সেনেগাল। বিশ বছর আগের সেনেগাল অধিনায়ক এখন দলের কোচ। সিসের অধীনেই আফকন জয়ী সেনেগাল পৌঁছালো দ্বিতীয় রাউন্ডে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল আফ্রিকার দেশটিকে। এবারও উঁকি দিচ্ছিলো একইরকম পরিণতি। তবে প্রথম ম্যাচে হারা সেনেগাল কামব্যাক করে স্বপ্নের মতো। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে এবং শেষ তথা ডু অর ডাই ম্যাচে এনার ভ্যালেন্সিয়ার ইকুয়েডরকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে তারা। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে সিসের দল।
মাস্ট উইন ম্যাচে তেরাঙার সিংহরা দেখালো দাপট। স্নায়ুর জোর দেখিয়ে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারালো তারা। প্রথমার্ধে ইসমাইলা সারের পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় সেনেগাল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার সমতা ফিরে পেয়ে যায় ইকুয়েডর। লাতিন আমেরিকার দেশটির হয়ে বিশ্বকাপে শেষ ছ'টি গোল করেছিলেন দলের অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই গোল পেয়েছিলেন তিনি। এদিন ভ্যালেন্সিয়া গোল পেলেন না। ইকুয়েডরকে সমতা এনে দেন ময়সেস কাইসেডো। এরপর চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে ৭০ মিনিটে কালিদৌ কুলিবালির দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যাওয়া সেনেগাল শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রেখে তিন পয়েন্ট তুলে নেয়। ভালো ফর্ম দেখালেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো ইকুয়েডরকে।
গ্রুপ এ-র অন্য ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ টপার হয়েই শীর্ষে গিয়েছেন ভার্জিল ভ্যান ডাইকরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম স্বাগতিক দেশ হিসেবে গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই হারলো কাতার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন