তাঁর জন্য ঋদ্ধিমান সাহা বাংলা ছেড়েছেন। বাংলা দলে টাকা নিয়ে ক্রিকেটার খেলানোর অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে। এবার বাংলার ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠলো সিএবির যুগ্মসচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনলেন বিরাট কোহলির নেতৃত্বতে ২০০৮ সালে ভারতের হয়ে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের উইকেটকিপার শ্রীবৎ গোস্বামী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ম্যাচের ফুটেজ তুলে ধরেন শ্রীবৎস। ভিডিওটি হচ্ছে সিএবি-র স্থানীয় ক্রিকেটের সুপার ডিভিশন লিগে টাউন ক্লাব বনাম মহমেডানের ম্যাচের।ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, টাউন ক্লাবের বোলারদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে উইকেট দিয়ে আসছেন মহমেডানের ব্যাটাররা। কোনো ক্ষেত্রে বোলার ডেলিভারি করার পর ব্যাটার ইচ্ছাকৃতভাবে বল না খেলে ব্যাট তুলে বোল্ড হচ্ছেন। তো পরের বলেই বল ব্যাটে লাগানোর কোনও চেষ্টা না করে ব্যাটার স্টেপ আউট করে স্টাম্পড হচ্ছেন!
সেই ভিডিও পোস্ট করে শ্রীবৎস লেখেন, 'কলকাতা ক্লাব ক্রিকেটে সুপার ডিভিশনের ম্যাচ। দুটি বড় দল এই কাজ করছে। কোনও ধারণা আছে কারও কী হচ্ছে? আমার দেখে লজ্জা লাগছে যে, এই খেলাটা আমিও হৃদয় দিয়ে খেলেছি। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি ও বাংলার হয়ে খেলা উপভোগ করেছি। কিন্তু এটা দেখে মন ভেঙে যাচ্ছে। ক্লাব স্তরের খেলা বাংলা ক্রিকেটের কাঠামো, এটাকে ধ্বংস করবেন না। এটাকেই গড়াপেটা বলে।'
সল্টলেক করুণাময়ীতে ভিডিওকন মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল টাউন বনাম মহামেডান ক্লাব। তিন দিনের এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ৭ পয়েন্ট পায় টাউন। টাউন ক্লাব দেবব্রত দাসেরই ক্লাব। এই বিষয়ে দেবব্রত দাস বলেন, 'আমি প্রথমে মাঠে ছিলাম পরে বেরিয়ে যাই। সেই কারণে জানি না কী হয়েছে।'
পুরো ঘটনায় তদন্ত হবে বলে জানান সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। তবে বারবার দেবব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কেনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না সিএবি? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন