অবশেষে ভারতে আসার ভিসা পেয়ে গেলেন মোহনবাগানের নতুন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। এক সপ্তাহ আগে বাগানর কোচ হিসেবে ফিরলেও জট ছিল ভিসা সমস্যা নিয়ে। সেই কারণে সুপার কাপে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। তবে এবারে ভিসা পাওয়ায় আসবেন হাবাস। সবঠিক থাকলে সুপার কাপে ১৯ জানুয়ারি ডার্বিতে দেখা যাবে হাবাসকে। এখনও অবধি ডার্বিতে কোচ হিসেবে হাবাস হারেননি। সেটা বাগানের জন্য বড়ো প্লাস পয়েন্ট। এশিয়ান কাপের জন্য সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকছে দেশের এক নম্বর ফুটবল লিগ আইএসএল।
এই এক মাসের মধ্যে আইএসএলের ক্লাবগুলি তাদের দলের দুর্বল জায়গাগুলি ভরাট করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। জানুয়ারির দলবদলে প্রায় প্রত্যেক ক্লাবই কিছু ফুটবলারকে সই করিয়ে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কলকাতার মোহনবাগান শিবির অবশ্য খেলোয়াড় বদলের আগে কোচ বদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে মাসের শুরুতেই। হুয়ান ফেরান্দোর জায়গায় কোচের পদে আসছেন তাদের প্রাক্তন কোচ ও বর্তমান টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আন্তোনিও লোপেজ হাবাস।
পুরনো কোচ ও নতুন কোচের ভাবনা ও স্টাইলে যখন ফারাক রয়েছে, তখন মোহনবাগান শিবিরে কিছু নতুন মুখ দেখা গেলেও যেতে পারে। আবার যে খেলোয়াড়রা রয়েছেন, তাঁদের নিয়েই নতুন করে দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে নামাতে পারেন হাবাস।
এমনিতে মরশুম শুরুর আগে যে রকম শক্তিশালী দল গড়েছিল মোহনবাগান তাতে মরশুমে মাঝখানে উল্লেখযোগ্য বদল আনার প্রয়োজন ছিল না। কাতার বিশ্বকাপে নামা সেন্টার ফরোয়ার্ড জেসন কামিংস ও আলবানিয়ার জাতীয় দলের হয়ে ইউরো ২০১৬-য় খেলা সেন্টার ফরোয়ার্ড আরমান্দো সাদিকু যোগ দেন তাদের শিবিরে। তার আগের মরশুমে দলে যোগ দেওয়া অস্ট্রেলিয়ার তারকা অ্যাটাকার দিমিত্রি পেট্রাটস ও ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হুগো বুমৌস তো ছিলেনই সবুজ-মেরুন শিবিরে। কিন্তু লাগাতার ব্যর্থতার কারণে কোচ বদল করতে বাধ্য হন বাগান কর্তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন