অপেক্ষার অবসান। মরক্কোকে হারিয়ে রবিবার আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলবে ফ্রান্স। একদিকে পর পর দুবার শিরোপা জয়ের হাতছানি। অন্যদিকে আর্জেন্টাইন মহাতারকার বিশ্বকাপ জয়ের অধরা স্বপ্ন পূরণের আশা। সবমিলিয়ে দুই মহাদেশের মহারণ দেখতে মুখিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে তার আগে পরিসংখ্যানে কোন দল এগিয়ে একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। ১৯৩০ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথম খেলে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচটিতে ৮১ মিনিটের মাথায় লুই ফিলিপ মন্টির করা গোলে ১-০ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয় আলবিসেলেস্তেরা। ৪৭ বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ফের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচেই মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। সেই ম্যাচটিও ২-১ গোলে জেতে মারিও কেম্পেসরা।
১৯৭৮-র পর ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে সাক্ষাৎ হয় দুই দেশের। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে লাতিন আমেরিকার দেশটিকে ৪-৩ গোলে হারায় এমবাপ্পের ফ্রান্স। সেইবার ফ্রান্স বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়।
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছে আট বার। আর্জেন্টিনা জিতেছে ৪ বার। ফ্রান্স জেতে দুবার। আর দুটি ম্যাচ ড্র হয়।
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে ফাইনাল ম্যাচ আর্জেন্টিনার কাছে মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার ম্যাচ। আর্জেন্টাইনরা চাইছেন কোপা আমেরিকা, কনমেবল-উয়েফা কাপ অফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বিশ্বকাপটাও যেন লিও মেসির হাতে ওঠে।
চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত মেসি ও এমবাপ্পে দুজনেই ৫টি করে গোল করেছেন। শুধু গোল করা নয়, গোল করানোতেও দুজনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। মেসির ড্রিবল, এমবাপ্পের গতি দুই দেশের সেরা অস্ত্র। তবে স্নায়ুর চাপ যে ধরে রাখতে পারবে সেই সেরার সেরা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন