অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে জনি বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। ক্যামেরন গ্রিনের ধীরগতির একটি বাউন্সার ছেড়ে দেন ব্যাট করতে থাকা বেয়ারস্টো। বল যায় উইকেট কিপার অ্যালেক্স ক্যারির হাতে। বেয়ারস্টো বল 'ডেড' ভেবে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান। আর তখনই উইকেট ভাঙেন ক্যারি। তৃতীয় আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাসও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে রায় দেন। বেয়ারস্টোর এইভাবে আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর অ্যালেক্স ক্যারির সমালোচনায় সরব হন ক্রিকেট বিশ্বের একাংশ। তবে ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, পাশে দাঁড়ালেন ক্যারির।
বেয়ারস্টোর আউট কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি ইংল্যান্ড দল। ম্যাচ শেষে ব্রিটিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেন, "আমি কি এই পদ্ধতিতে একটি ম্যাচ জিততে চাই? আমি মনে করি আমার জন্য উত্তরটি না।" অন্যদিকে ব্রিটিশ স্পিড স্টার স্টুয়ার্ট ব্রড ক্যারির প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, "এর জন্য আপনাকে সবসময় মনে রাখা হবে।"
বেয়ারস্টোর আউটটি স্পিরিট অফ ক্রিকেটের পরিপন্থী ধরে নিয়ে সমালোচনা করছেন অনেকেই। তবে ক্যারির পাশে দাঁড়িয়েছেন অশ্বিন। ভারতের এই অফ স্পিনারকেও (মানকাডিং পদ্ধতিতে আউট করার পর) এমন সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল। অশ্বিনের দাবি, সমালোচনা না করে অ্যালেক্স ক্যারির ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কের তারিফ করা উচিত।
ক্যারির স্মার্টনেসের প্রশংসা করে অশ্বিন ট্যুইটে লিখেছেন, "একটা বিষয় আমাদেরকে ভালোভাবে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে হবে। একজন কিপার টেস্ট ম্যাচে দূর থেকে উইকেটে বল ছোড়ার অহেতুক ঝুঁকিটা নেবে না। যদি না সে বা তাঁর দল এটা লক্ষ্য করে রাখে যে বেয়ারস্টোর ক্রিজ ছাড়ার মধ্যে একটা আলাদা প্যাটার্ন রয়েছে। বল খেলার পর বেয়ারস্টো যা করছিল সেটা ওরা নজরে রেখেছিল। আমাদের সবসময় এই স্মার্ট ক্রিকেটারদের কুর্নিশ জানানো উচিত। তা না করে বারবার এই ঘটনাকে অনৈতিক খেলা বা স্পিরিট অফ ক্রিকেটের দোহাই দিয়ে বিচার করা উচিত নয়।"
অ্যালেক্স ক্যারি অবশ্য ক্রিকেটের নিয়মের বাইরে কিছুই করেননি। আইসিসির আইনের ২০.১.২ ধারা অনুযায়ী ক্যারি বেয়ারস্টোর স্টাম্প নিয়মের মধ্যে থেকেই ভেঙেছেন। ২০.১.২ ধারা অনুযায়ী, একটি বলকে 'ডেড' তখনই বলা হবে, যখন আম্পায়ারের কাছে এটি পরিষ্কার হবে যে ফিল্ডিং পক্ষ এবং উইকেটে থাকা উভয় ব্যাটার বলটিকে খেলার মধ্যে বিবেচনা করা বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন