প্যারিস অলিম্পিকের জন্য কোনও টাকা পাননি ভারতীয় শাটলার অশ্বিনী পোনাপ্পা। কিন্তু সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয় তিনি নাকি ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফ থেকে ১.৫ কোটি টাকা পেয়েছেন। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAI)-র তরফ থেকেও এমন দাবি করা হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মহিলা শাটলার। এই প্রতিবেদন এবং সরকারের দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।
এক্স মাধ্যমে অশ্বিনী লেখেন, "সত্যতা যাচাই না করেই কীভাবে এই ধরণের প্রতিবেদন লেখা হল? এই মিথ্যা কীভাবে লেখা হল? প্রত্যেকে নাকি ১.৫ কোটি টাকা পেয়েছে? কার কাছ থেকে? কীসের জন্য? আমি কোনও টাকা পাইনি। এমনকি আমি কোনও সংগঠনের অংশও নই যেখান থেকে ফান্ড আসবে"।
তিনি আরও জানান, "আমি সত্যিই অবাক। টাকা না পাওয়াতে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে গোটা দেশের কাছে বলা হচ্ছে আমি টাকা পেয়েছি। এটা হাস্যকর। আমি কোনও টাকা পাইনি। আমার কোনও নির্দিষ্ট কোচ নেই। প্রশিক্ষণের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে আমিই সমস্ত টাকা খরচ করেছি। কারুর কাছ থেকে টাকা নিইনি।"
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয় অলিম্পিক্সে ১১৭ জন ভারতীয় অ্যাথলিটের জন্য মোট ৪৭০ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। যার মধ্যে শুধুমাত্র ব্যাডমিন্টন প্লেয়ারদের জন্য খরচ হয়েছে ৭২.০৩ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২৪ অলিম্পিক্সে ব্যাডমিন্টন বিভাগে একটিও পদক আসেনি। পি ভি সিন্ধু ছিটকে যান প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। এইচ এস প্রণয় কোয়ার্টার ফাইনালে লক্ষ্য সেনের কাছে পরাজিত হন। লক্ষ্য সেন তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে পরাজিত হন। অশ্বিনী পোনাপ্পা এবং তানিশা ক্রাস্টো গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যান। সাত্বিক-চিরাগ জুটিকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারতে হয়।
প্রতিবেদনে লেখা হয়, অশ্বিনী এবং তানিশা ১.৫ কোটি টাকা করে সাহায্য পান। সিন্ধুকে দেওয়া হয় ৩.১৩ কোটি টাকা। সাত্বিক-চিরাগ পান ৫.৬২ কোটি টাকা এবং এইচ এস প্রণয় পেয়েছেন ১.৮ কোটি টাকা।
৩৪ বছরের অশ্বিনী ভারতের অন্যতম সেরা ডবল ব্যাডমিন্টন প্লেয়ারদের মধ্যে একজন। তিনি কমনওয়েলথ গেমস ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮-তে যথাক্রমে সোনা, রুপা এবং একটি ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন