যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে টানা অষ্টমবার ডার্বি জিতেছে সবুজ-মেরুনরা। তবে সেসব এখন অতীত। প্রীতম কোটালদের প্রধান লক্ষ্য এখন সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়া। আর তার জন্য শনিবার বাগানকে পেরোতে হবে ওড়িশা বাধা। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে প্লে অফের ম্যাচকেই তাই ফাইনাল মনে করছে ফেরান্দোর দল।
লিগ পর্বে দুটো ম্যাচের একটিতেও মেরিনার্সদের হারাতে পারেনি ওড়িশা। প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয় এবং দ্বিতীয় ম্যাচে বাগান জেতে ২-০ গোলে। দুটি গোলই করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ২০২০ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচেও ওড়িশা হারাতে পারেনি এটিকে মোহনবাগানকে। ছ' বারের সাক্ষাতে তিনবার ম্যাচ ড্র হয়েছে এবং তিনবার জয় পেয়েছে মোহনবাগান। তবে অতীতের এইসব পরিসংখ্যানকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না ফেরান্দোরা।
ডার্বি জিতলেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেনি সবুজ-মেরুন শিবির। এটিকে মোহনবাগানের প্রত্যেক ফুটবলারের কাছেই এখন ওড়িশা ম্যাচের গুরুত্ব ডার্বির চেয়ে কয়েকগুন বেশি। বাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটালের কথায় তা স্পষ্ট। প্রীতম বলেন, "এই ম্যাচটা হারলে সব শেষ। তাও ডার্বির থেকেও ১০ শতাংশ বেশি দিতে হবে আমাদের। ডার্বি এখন অতীত। আমরা লিগ জিততে পারিনি। কিন্তু শিল্ড জেতার সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। সেটা কাজে লাগাতে হবে। ডার্বি খেলতে নেমেছিলাম জেতার মানসিকতা নিয়ে। ওড়িশা ম্যাচেও সেটা প্রয়োজন। নক আউটে সামান্য ভুলেই অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকব। আমাদের এখন শুধুই চিন্তা ওড়িশাকে নিয়ে। আর কোনও কিছু নিয়েই ভাবছি না আমরা।"
বাগানের তারকা ডিফেন্ডার, স্লাভকো দামানোভিচ বলেছেন, "ওড়িশা শক্তিশালী দল। আমাদের কাছে ডার্বির থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই ম্যাচ। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ওদের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মোরিসিও এবং স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ভিক্টর রদ্রিগেজ পুরো দলের আক্রমণ তৈরি করে। পাল্টা আক্রমণে ওঠে ওরা। ফলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছি আমরা। মাঠে আমাদের সমর্থকেরা থাকবে। এই ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে, না হলে আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন