কুস্তিগীর সাক্ষী মালিকের অবসর ঘোষণার পর এবার পদ্মশ্রী পুরস্কার ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া। মূলত ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি পদে ব্রিজ ভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং নির্বাচিত হওয়ার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বজরং।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচন ছিল। যেখানে সঞ্জয় সিং, কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদকজয়ী অনিতা শিওরানকে ৪০-৭ ব্যবধানে হারিয়ে সভাপতি হন। তার প্রতিবাদেই পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান বজরং পুনিয়া। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে পদ্মশ্রী ফেরানোর কারণও তিনি উল্লেখ করেন ২৯ বছর বয়সী এই তারকা কুস্তিগীর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে বজরং জানিয়েছেন, "আমি বুঝতে পারছিলাম না কোথায় যাবো, কী করবো এবং কীভাবে বাঁচবো। সরকার এবং জনগণ আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। সেই সম্মানের বোঝা নিয়েই কি আমার দম বন্ধ হয়ে যাবে? ২০১৯ সালে আমি পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হই। এছাড়া খেল রত্ন ও অর্জুন পুরস্কারও পেয়েছি। এই সম্মানগুলি গ্রহণ করার সময় সত্যিই খুব খুশি ছিলাম। তখন মনে হচ্ছিল জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। কিন্তু বর্তমানে আমি খুবই দুঃখিত। আর এই সম্মান আমার দম বন্ধ করে দিচ্ছে"।
সঞ্জয় সিং সভাপতি হওয়ার সাথে সাথেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাক্ষী মালিক, ভীনেশ ফোগত, বজরং সহ একাধিক কুস্তিগীর। গতকালই বজরং বলেছিলেন, "খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকার আমাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি। আমাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের যোগ নেই, আমরা রাজনীতি করতে আসিনি। সত্যের জন্য লড়াই করেছিলাম। কিন্তু ব্রিজ ভূষণের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই সভাপতি হলেন"।
প্রসঙ্গত, যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ব্রিজ ভূষণের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়ের সভাপতি হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সাক্ষী মালিক। গতকালই তিনি কুস্তি ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। সাক্ষী বলেন, "এই ফলাফলে একদমই খুশি নই। আমরা চেয়েছিলাম কুস্তি ফেডারেশনের দায়িত্বে মহিলা কেউ আসুক। কিন্তু তা হলো না। সঞ্জয় সিং যদি ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ হন এবং তাঁর সমস্ত কাজে সঙ্গ দেন তাহলে আমি কুস্তি ছেড়ে দেব"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন