নিজেদের ঘরের মাঠে পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েও গোলমুখে কোনো শট নিতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ১৩ বছর আগে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাদের। গোলের উদ্দেশ্যে ১১টি শট নিলেও গোলমুখি হয়নি কোনো বলই।
রবার্ট লেভানডফস্কি, উসমান ডেম্বেলে, পেদ্রি দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনজনই চোটের জন্য মাঠের বাইরে ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচের আগেই বার্সা ছিল ব্যাকফুটে। লেভাদের অভাবও ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো ম্যাচে বার্সার বলের দখল ছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ। তবে বলের দখল হারিয়েও স্বচ্ছন্দে শেষ পর্যন্ত রক্ষণভাগ আগলে জয় নিয়ে ফিরলো জাভি হার্নান্দেজের দল।
প্রথমার্ধের ২৬ মিনিটে রিয়াল রক্ষণের এক বড় ভুলে লীড পেয়ে যায় বার্সা। সেই ব্যবধানই তারা ধরে রাখে শেষ পর্যন্ত। কামাভিঙ্গার পা থেকে বল নিয়ে কাউন্টার শুরু করে বার্সা। বল নিয়ে বক্সের কাছে এসে সামনে রান নেওয়া কেসিকে পাস দেন গাভি। বক্সে এগিয়ে শট নেন কেসি। তাঁর শট বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ফিরিয়ে দিলেও তা এডার মিলিটাও-এর পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি সুযোগ তৈরি করেছিল সফরকারীরা। তবে আর গোলের দেখা পায়নি। পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েও রিয়াল সমতা ফিরে পেলো না। ০-১ গোলে জয় নিয়ে ফিরলো বার্সেলোনা। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচ জয়হীন থাকল রিয়াল মাদ্রিদ। গত সপ্তাহে লা লিগায় মাদ্রিদ ডার্বিতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন