২০২৩ সালের মার্চেই ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়। অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিলাদের আইপিএল। উদ্বোধনী মরশুমে এই প্রতিযোগিতার ব্যাপক সাফল্যের জন্য কোনোরকম অবহেলা করছে না বিসিসিআই। এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাঁচটি দলের জন্য দরপত্র পাঠাতে চলেছে এবং প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বেস প্রাইস রাখা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। মহিলা আইপিএল-এর উদ্বোধনী সংস্করণকে সফল করতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না বিসিসিআই।
মহিলাদের আইপিএল অবশেষে দিনের আলো দেখতে চলেছে। ১৮ অক্টোবর মুম্বইতে বোর্ডের ৯১ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় মহিলাদের আইপিএল বিসিসিআই-র জেনারেল বডি দ্বারা অনুমোদিত হয়। খুব শীঘ্রই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মহিলাদের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য একটি অনলাইন নিলামের জন্য একটি টেন্ডার নথি প্রকাশ করবে। সমস্ত বিদ্যমান আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও ই-নিলামে অংশ নিতে পারবে বলে জানা গিয়েছে।
পাঁচটি দলের টুর্নামেন্টে মোট ২০ টি লীগ খেলা হবে। যেখানে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে দু'বার খেলতে পারবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানাধিকারী সরাসরি ফাইনালে প্রবেশ করবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানের দলগুলি এলিমিনেটরে লড়াই করবে। প্রতিটি দলের প্লেয়িং ইলেভেনে সর্বোচ্চ পাঁচ বিদেশী ক্রিকেটার থাকবে।
বিসিসিআই দ্বারা সমস্ত রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনে পাঠানো একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের একটি ভাল ভারসাম্য এবং প্রতিযোগী দল তৈরির জন্য, ইন্ডিয়ান ওম্যানস প্রিমিয়াম লিগে (WIPL) পাঁচটি দল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দলে সর্বোচ্চ আঠারো জন খেলোয়াড় থাকতে পারে যেখানে কোনো দলে ছয়জনের বেশি বিদেশী খেলোয়াড় থাকতে পারবে না।"
মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগ ২০১৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর যুক্তরাজ্যে শুরু হয়েছে হানড্রেড লিগ। আগামী বছরে মহিলাদের লিগ ঘোষণা করেছে পাকিস্তানও। এবার ভারতেও শুরু হচ্ছে আইপিএলের আদলে মহিলাদের টুর্নামেন্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন