অজি কিংবদন্তী গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে গেলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৭ টি উইকেট নিয়েছেন ব্রড। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েই ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ম্যাকগ্রাকে। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি উইকেট পাওয়ার সাথে সাথেই আন্তর্জাতিক টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে যান ব্রড।
পেসার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড বুকের প্রথম দুই ক্রিকেটার এখন ইংল্যান্ডের দুই গ্রেট জিমি অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রড। তৃতীয় স্থানে থাকা গ্লেন ম্যাকগ্রা অবশ্য ব্রডের থেকে অনেক কম টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ১২৪ টেস্ট ম্যাচে ২১.৬৪ গড়ে ৫৬৩ উইকেট নিয়েছেন অজি কিংবদন্তী।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগারকে ৩৬ রানে এলবিডব্লিউ করে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন ব্রড। এটি ছিল তাঁর ৫৬৪ তম টেস্ট উইকেট। এরপর রিকেলটন এবং কেশব মহারাজকেও ফেরান তিনি। সবমিলিয়ে ১৫৯ টেস্টে ২৭.৭৭ গড়ে লাল বলের ক্রিকেটে ব্রডের উইকেট ৫৬৬ টি।
ফাস্ট বোলার হিসাবে টেস্টে ব্রডের থেকে অধিক উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব একমাত্র একজনের রয়েছে। তিনি ব্রডেরই সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসন। অ্যান্ডারসন ১৭৫টি টেস্টে ২৬.২৪ গড়ে ৬৬৭টি উইকেট নিয়েছেন।
সার্বিকভাবে টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন ব্রড। শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তী মুথাইয়া মুরলিধরন (৮০০ উইকেট)। দ্বিতীয় স্থানে অজি গ্রেট শেন ওয়ার্ন (৭০৮ উইকেট), তৃতীয় স্থানে জিমি অ্যান্ডারসন (৬৬৭ উইকেট) এবং চতুর্থ স্থানে ভারতের অনিল কুম্বলে (৬১৯ উইকেট)।
ওভালে পঞ্চম দিনে ম্যাচ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আর মাত্র ৩৩ রান। হাতে রয়েছে ১০ উইকেট। তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৮ রানেই অল আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ইংল্যান্ড অল আউট হয়ে যায় ১৫৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্রড, স্টোকসদের তোপে প্রোটিয়ারা আউট হয়ে যায় ১৬৯ রানে। জয়ের জন্য ১৩০ রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনে বিনা উইকেটে ৯৭ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন