ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠে প্রথম লেগে হেরেছিল চেলসি। তার ওপর সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে একেবারে কোণঠাসা ব্লুজরা। শেষ সাত ম্যাচে গ্রাহাম পটারের দল মাত্র একটি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল। সাত ম্যাচে গোল করেছিল মাত্র দুটি। এই শোচনীয় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গতরাতে নিজেদের ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে দিল পটার বাহিনী। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে স্মরণীয় জয় তুলে নিয়ে ২-১ এগ্রিগেটে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখলো ব্লুজরা।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে খেলার শুরু থেকেই অন্য ছন্দে দেখা দেয় চেলসি। দশ মিনিটের মধ্যেই তারা অন্তত তিনটি সুযোগ তৈরি করে। তবে গোল আসেনি। প্রথম গোলের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় ৪৩ মিনিট। ২৮ মিনিটের মাথায় গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল চেলসি। কিন্তু হাভার্টজের শট এক পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায় আরেক পোস্ট ঘেঁষে! ৩৮ মিনিটে অবশ্য বল জালে জড়িয়েছিল হাভার্টেজ। কিন্তু অফসাইডের কারণে জার্মান মিডফিল্ডারের সেই গোল বাতিল হয়।
একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করা চেলসি এগিয়ে যায় ৪৩ তম মিনিটে। চিলওয়েলের কাটব্যাক পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে যান রহিম স্টার্লিং। প্রথম চেষ্টায় বল মার্কো রুইসের পায়ে লাগার পর ফের দখল করেন তিনি। এবার কোনো ভুল করেননি তিনি। জোরালো শটে ডর্টমুন্ডের জাল খুঁজে নেন ব্রিটিশ তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। স্পট কিক থেকে এবার গোলটি করেন কাই হাভার্টজ। তবে এই গোলে দেখা যায় নাটকীয়তা। প্রথমে স্পট-কিক নিতে গিয়ে ব্যর্থ হন হাভার্টেজ। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু স্পট-কিক নেওয়ার আগেই বক্সে ঢুকে গিয়েছিল কিছু ডর্টমুন্ড খেলোয়াড়। যে কারণে আবার পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ পান হাভার্টেজ। এবার আর ভুল করেননি এই জার্মান তারকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন