মোহনবাগানের হেড কোচ হুয়ান ফেরান্দোর সহকারি হিসেবে মোহনবাগানে যোগ দেবেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। ফুটবলার হিসেবে ডেম্পোর হয়ে পাঁচবার আই লিগ জিতেছিলেন ক্লিফোর্ড। এছাড়াও সাফ কাপ, ডুরান্ড কাপ, ফেডারেশন কাপ জেতার নজিরও রয়েছে তাঁর।
খেলোয়াড় জীবনে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ক্লিফোর্ডকে সই করাতে চাইলেও রাজি হননি ক্লিফোর্ড। ফুটবল জীবনে শেষ পর্বে আইএসএলের কলকাতার ক্লাব তৎকালীন দল অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতায় ছিলেন। মোহনবাগানের সহকারি কোচের দায়িত্বে এখন রয়েছেন বাস্তব রায়। কলকাতা লিগে কোচিংয়ের দায়িত্বে আছেন তিনি। এই মুহূর্তে ভালো পারফরমেন্সও করছে টিম বাগান। তাহলে কি বাস্তব রায় শুধু যুব দল দেখবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে প্রাক্তন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে ফিরিয়ে আনছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এবার অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বা টিডি হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন তিনি। আইএসএলে সফল কোচেদের মধ্যে সামনের সারিতেই রয়েছেন হাবাস। এটিকে এফসি-র কোচ থাকাকালীন তাদের দু’বার আইএসএল খেতাব জিতিয়েছেন হাবাস (২০১৪ এবং ২০১৯-২০ মরশুম)। ২০১৫ সালে তাঁর কলকাতা সেমিফাইনালে উঠেছিল। ২০২০-২১ মরশুমে এটিকে মোহনবাগানকেও তুলেছিলেন ফাইনালে। এরকম একজন সফল কোচকে ২০২২-এর ডিসেম্বরে লিগ চলাকালীনই বিদায় জানানো হয় দলকে সঠিক পথে চালিত না করতে পারার জন্য। এ বার সেই হাবাসকেই ফিরিয়ে আনা হল।
এই স্প্যানিশ কোচকে এবার মূলত সবুজ-মেরুন বাহিনীর বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের পরামর্শদাতার ভূমিকায় দেখা যাবে। শক্তিশালী সিনিয়র দল তৈরির পাশাপাশি যুব ফুটবলের উন্নতিতে কাজে লাগানো হবে তাঁকে। মূলত যুব ও বয়সভিত্তিক দলগুলি থেকে ভালো ভালো ফুটবলার তুলে আনাই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের লক্ষ্য। সব দলকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের উন্নতির পরামর্শ দেবেন হাবাস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন