কমনওয়েলথ গেমস শুরু হতে আর হাতে গোনা তিন দিন। তার আগেই বক্সিং ফেডারেশনের কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় তারকা লভলিনা বরগোঁহাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে 'মানসিক হয়রানির' শিকার হচ্ছেন তিনি।
লভলিনা জানিয়েছেন ক্রমাগত তাঁর কোচদের সরিয়ে ট্রেনিং এবং কম্পিটিশনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যে কোচেদের তত্ত্বাবধানে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন লভলিনা, কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর কোচ সন্ধ্যা গুরুংকে বর্তমানে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে প্রবেশের অনুমতি দেওয়াই হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘৃণ্য রাজনীতির শিকার হচ্ছেন বলে স্পষ্ট দাবি করেছেন লভলিনা। যদিও অভিযোগের তীর কাদের দিকে তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে তাঁর ক্ষোভ যে সর্বভারতীয় বক্সিং ফেডারেশনের কর্তাদের দিকে তা কার্যত বলার অপেক্ষা রাখে না।
লভলিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "আজ আমি খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বারবার আমার কোচেদের সরিয়ে আমার প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগীতায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।"
লভলিনা আরও লেখেন, "আমার কোচের মধ্যে একজন হলেন দ্রোণাচার্য পুরস্কারে সম্মানিত সন্ধ্যা গুরুংজী। আমাকে আমার কোচদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য হাত জোড় করে অনুরোধ করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি মানসিকভাবে হেনস্থা বোধ করছি। আমার কোচ সন্ধ্যা গুরুংজী কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমার ইভেন্ট শুরু হওয়ার মাত্র আট দিন আগে, আমার প্রশিক্ষণের সময়সূচী ব্যাহত হয়েছে। আমার অন্য কোচকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।"
ইস্তাম্বুলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের আগে একই ধরণের আচরণ সহ্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন লভলিনা। তিনি আশঙ্কা করছেন আসন্ন বার্মিংহাম গেমসে অনুরূপ কিছু ঘটবে। এই রাজনীতির মধ্যে নিজের গেমসে ফোকাস করতে পারছেন না তিনি। তবে সবকিছুকে কাটিয়ে উঠে দেশের জন্য পদক জয় করতে চান লভলিনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন