রবিবারে মহারণ। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার লড়াই। ২০০৩ সালের ফাইনালে পরাজয়ের বদলা নেওয়ার সুযোগ রোহিত বাহিনীর কাছে। সেই হাইভোল্টেজ ম্যাচের জন্য তিন জন অভিজ্ঞ ও দক্ষ আম্পায়ারকে বেছে নিল আইসিসি।
২০০৩ সালে সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে হারতে হয়েছিল ভারতীয় টিমকে। ২০ বছর পর ভারতীয় দলের কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে। তবে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি অনেকটা নির্ভর করে ম্যাচের আম্পায়ারিং-র ওপর। এবার ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন রিচার্ড ইলিংওর্থ এবং রিচার্ড কেটলবরো। দুই আম্পয়ারই ইংল্যান্ডের। এর মধ্যে ইলিংওর্থ ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালের দায়িত্বে ছিলেন। কেটলবরো ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দায়িত্বে। যথেষ্ট দক্ষতার সাথেই দুটি ম্যাচ সম্পূর্ণ করেছিলেন তাঁরা। তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব সামলাবেন জোয়েল উইলসন। ক্রিস গ্যাফানিকে চতুর্থ আম্পায়ার করা হয়েছে।
ভারত যে ছন্দে রয়েছে তাতে সকলেই আশা করছেন ভারতই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে। তবে বিশ্বকাপের প্রথম দু'টি ম্যাচ হারলেও দুরন্ত কামব্যাক করেছে টিম অস্ট্রেলিয়াও। নক আউট ম্যাচগুলিতে অজিরা যে কতটা ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ দিয়েছেন ওয়ার্নাররা।
২০ বছর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে জোহানেসবার্গে মুখোমুখি হয়েছিল রিকি পন্টিং-র অস্ট্রেলিয়া এবং সৌরভ গাঙ্গুলির ভারত। সেবার প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া রান তোলে ৩৫৯। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ইনিংস ২৩৪ রানেই শেষ হয়ে যায়।
২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের উইকেট রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। মিডল অর্ডারে ১১ ম্যাচে মোট ৩১৮ করেছিলেন তিনি। এবারেও ভারতের উইকেটের পিছনে আছে আরেক রাহুল। লোকেশ রাহুল। ১০ ম্যাচে দলের হয়ে ৩৮৬ রান করেছেন। ২০০৩ সালে গ্রুপ স্টেজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ভারত। ২০২৩ সালে লিগ স্টেজে ভারতের কাছে হারতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। বেশ কিছু মিল থাকলেও ফাইনাল ম্যাচগুলিতে যে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারবে সেই বাজিমাত করবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন