দুর্নীতির অপরাধে ৬ বছরের জন্য বিশ্ব ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হলেন বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা মার্লন স্যামুয়েলস। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।
২০১৬ সালে কলকাতা ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ম্যাচের নায়ক ছিলেন মার্লন স্যামুয়েলস এবং কার্লোস ব্রেথওয়েট। ৬৬ বলে ৮৫ রান করে ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন স্যামুয়েলস। সেই স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
আইসিসি সূত্রে খবর, স্যামুয়েলস ২ বছর আগে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ECB)-র দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘ তদন্তের পর তাঁর অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। মূলত চারটি অভিযোগ রয়েছে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে।
প্রথমত, ওই আইনের অনুচ্ছেদ ২.৪.২ অনুযায়ী, স্যামুয়েলস কোনো ব্যক্তির থেকে বিশেষ কোনো উপহার বা অর্থ নিয়েছিলেন যার কারণে তাঁর খেলায় পরিবর্তন বা ওই ম্যাচ বিঘ্নিত হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অনুচ্ছেদ ২.৪.৩ অনুযায়ী, ক্যারিবিয়ান তারকা জুয়াড়িদের কাছ থেকে ৭৫০ মার্কিন ডলার বা তার অধিক মূল্যের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তা তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছ থেকে গোপন করেছিলেন।
তৃতীয়ত, অনুচ্ছেদ ২.৪.৬, তদন্তকারী আধিকারিকদেরকে তদন্ত অসহযোগিতা এবং চতুর্থত, অনুচ্ছেদ ২.৪.৭ অনুযায়ী, তদন্তে বাধাদান এবং তদন্তের ক্ষেত্রে জরুরী তথ্য আধিকারিকদের কাছ থেকে গোপন করার চেষ্টা করেছেন স্যামুয়েলস।
এক আইসিসি কর্তা জানান, "স্যামুয়েলস দু'দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি প্রচুর দুর্নীতি বিরোধী ক্লাস করেছেন। তিনি জানেন দুর্নীতির শাস্তি কী হতে পারে। তারপরেও এই ধরণের কাজ করে গেছেন। তিনি অবসর নিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু অপরাধীর শাস্তি হবেই। তাঁর শাস্তির মাধ্যমে বাকিদেরও সতর্ক করে দেওয়া হলো"।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০০০ সালে অভিষেক হয় স্যামুয়েলসের। ৭১টি টেস্ট, ২০৪টি ওয়ান ডে এবং ৬৭টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে ১১ হাজারের অধিক রানের মালিক তিনি। এমন তারকা ক্রিকেটার যে দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকতে পারেন তা জানতে পেরে গোটা ক্রিকেট মহলই অবাক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন