সামনে এলো উত্তরাখন্ড ক্রিকেট সংস্থার চরম দুর্নীতি। গত আর্থিক বছরে উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অডিট রিপোর্ট জমা পড়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে, খাবারের খরচ ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকারও বেশি। ক্যাটারিং খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। জলের বোতলের বিল ২২ লাখ। কলা কেনার খরচ ৩৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু দৈনিক ভাতা(ডিএ)হিসাবে ক্রিকেটারদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র একশো টাকা। গত একবছর ধরেই নাকি ক্রিকেটাররা দৈনিক একশো টাকা করেই পাচ্ছেন। এই খবর সামনে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরাখন্ড ক্রিকেট সংস্থার দুর্নীতি নিয়ে।
শুধু তাই নয়। জানা গিয়েছে আর্থিক হিসাবের গন্ডগোলের পাশাপাশি, কিছু ক্রিকেটারকে নাকি খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দল নির্বাচনে, সাপোর্ট স্টাফ ও কোচদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে আসছে উত্তরাখন্ড ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে।
উত্তরখণ্ডের সিনিয়র ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা হিসাবে দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। মাঝে সেটা কমিয়ে হাজার টাকা করা হয়েছিলো। পরে আবার তা বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করা হয়। কিন্তু গত একবছর ধরে ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন মাত্র একশো টাকা করে। জানা গিয়েছে, খাবার কেনার জন্য টাকা চাইলে এক কর্তা বলেন, "আরে, কেন তোমরা বারবার একই প্রশ্ন করছো? টাকা চলে আসবে। ততক্ষণ তোমরা সুইগি, জোম্যাটো থেকে আনিয়ে নাও না।"
উত্তরখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জয় সিংহ গুনসলা, সহ সভাপতি সঞ্জয় রাওয়ালত, সচিব মাহিম বর্মা এবং যুগ্ম সচিব অনভিস বর্মা। কোষাধক্ষ্যের পদে রয়েছেন পৃথ্বী সিং নেগী। অভিযোগের তীর সবচেয়ে বেশি সচিব মাহিম বর্মার বিরুদ্ধে। ক্রিকেটাররা টাকা না পাওয়ায় এখন প্রশ্ন উঠছে সেই টাকা কোথায় গেলো?
আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি বহু প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করার খবর উঠে এসেছে উত্তরাখন্ডের বোর্ডের বিরুদ্ধে। উত্তরাখন্ডের অধিনায়ক জয় বিস্ত বলেছেন, কোনো দল নির্বাচনেই তিনি থাকতেন না। কিছু ক্রিকেটারকে আবার খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দেরাদুন, হরিদ্বার সহ একাধিক থানায় উত্তরাখন্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নামে মোট ১৭৩ টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন