সুপার কাপ জয় উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে একটি চা-চক্রের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত, সচিব কল্যাণ মজুমদার, শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, সহ সচিব রূপক বসু, ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলি সহ ইস্টবেঙ্গলের অন্যান্য কর্তারা। পাশাপাশি হাজির ছিলেন ইনভেস্টর ইমামির কর্তারাও।
দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হয়। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির দিকেই ইমামি আর ইস্টবেঙ্গল এগোচ্ছে সেটা স্পষ্ট হয়। এদিকে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত যে লম্বা সময়ের জন্য ইস্টবেঙ্গলে থাকবে সেটাও জানিয়ে দেন ইমামি কর্তা সন্দীপ আগরওয়াল।
সন্দীপবাবু বলেন, 'কুয়াদ্রাতকে আমরা লম্বা সময়ের পরিকল্পনা নিয়েই কোচ করেছি। আমাদের পরিকল্পনাতে কুয়াদ্রাতই আছেন। ওনাকে সামনে রেখেই দল তৈরী হবে। যেভাবে সুন্দর ভাবে দল চালাচ্ছেন, সাফল্য দিচ্ছেন তাতে আমরা খুব খুশি।'
এক দিকে, টানা ডার্বি হারের যন্ত্রণা, অন্যদিকে ট্রফির দেখা না পাওয়া। সর্বভারতীয় স্তরে ২০১২ সালে শেষ ট্রফি এসেছিল ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। মোহনবাগানে একের পর এক ট্রফি। ডার্বির রেজাল্ট নিয়ে যেমন মাঠের বাইরে সমর্থকদের ‘ম্যাচ’ চলত, তেমনই ট্রফি নিয়েও। কলকাতা ফুটবলে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেই কারণেই ঐতিহাসিক। এবারের আইএসএলের আগে চিত্র কিছুটা পাল্টেছে। সদ্য কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বিতে আবার ড্র করলো ইস্টবেঙ্গল। জিততে না পারলেও খুশি সমর্থকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন