পিভি সিন্ধুর প্রথমবার কমনওয়েলথ গেমসের সিঙ্গলসে সোনা জয়ের ঠিক পরেই ভারতকে ব্যাডমিন্টনে দ্বিতীয় সোনাটি এনে দেন লক্ষ্য সেন। মালেশিয়ার জে ইয়ংকে হারিয়ে হারিয়ে সোনা জেতেন যুব অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী ভারতীয় তারকা। ব্যাডমিন্টনে সিন্ধু-লক্ষ্যর হাত ধরে সোনা জয়ের পর টেবিল টেনিসে দেশকে গোল্ড মেডেল এনে দিলেন অচিন্ত্য শরথ কমল। কমনওয়েলথ গেমসে টেবিল টেনিসের বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে এটি শরথের সপ্তম সোনা জয়।
মহিলাদের ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সিন্ধুর দাপটের পর পুরুষদের সিঙ্গলসে খেলতে নেমেছিলেন লক্ষ্য। ফাইনালে মালয়েশিয়ান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম সেটে হারলেও বাকি দুই সেটে 'লক্ষ্যভেদ' করতে অসুবিধা হয়নি আলমোড়ার তরুণ তারকাকে। তিন সেটের লড়াইয়ে ম্যাচের ফলাফল লক্ষ্যের পক্ষে ১৯-২১, ২১-৯, ২১-১৬। কমনওয়েলথ গেমসে এটিই সিঙ্গলসে লক্ষ্য সেনের প্রথম পদক। তবে বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে এটি লক্ষ্যর দ্বিতীয় পদক। মিক্সড টিম ইভেন্টে রূপো জিতেছেন তিনি।
অন্যদিকে, কমনওয়েলথে ব্যাডমিন্টন ডবলসে সোনা জিতলেন চিরাগ-সাত্ত্বিক জুটি। ফাইনালে ইংরেজ প্রতিপক্ষ বেন-সিন এর জুটিকে হারিয়ে দেশকে পদক এনে দিলেন তাঁরা। ২১-১৫ এবং ২১-১৩-তে জয় ছিনিয়ে নেন ভারতীয় শাটলাররা। চলতি বছরে থমাস কাপে জয় এই দুজনের হাত ধরেই এসেছিল।
পুরুষদের টেবিল টেনিসের সিঙ্গলসে দেশকে সোনা এনে দিলেন শরথ কমল। ইংল্যান্ডের লিয়াম পিচফোর্ডকে ১৩-১১, ১১-৭, ১১-২, ১১-১৬, ১১-৭ ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জেতেন শরথ।
২০০৬ মেলবোর্ন কমনওয়েলথ গেমসে অভিষেকেই চমক দিয়েছিলেন শরথ। সিঙ্গেলসে দেশকে এনে দিয়েছিলেন সোনা। ১৬ বছর আগের সেই তরুণ খেলোয়াড় এখন ৪০ এর দোরগোড়ায়। তবে বার্মিংহ্যামে তিনি যে ঝলক দেখালেন তাতে প্রমাণ করলেন বয়স কেবল এক সংখ্যামাত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। এই সোনা জয়ের ফলে কমনওয়েলথ গেমসে শরথ কমল সবমিলিয়ে মোট ৭ টি সোনার মালিক হয়ে গেলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন