বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের ফাইনালে হরমনপ্রীত কৌরের বাহিনী। এজবাস্টনে রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনালে ব্রিটিশ মহিলাদের ৪ রানে হারিয়ে ঐতিহাসিক পদক নিশ্চিত করলো ভারতের নারী ব্রিগেড। মন্ধনা-রদ্রিগেজের দুর্দান্ত ইনিংসের সৌজন্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানেই আটকে গেলেন ব্রিটিশরা। এই জয়ের সাথে সাথেই কমনওয়েলথ গেমসে ওম্যানস ক্রিকেটের প্রথম সংস্করণেই পদক আসছে ভারতের ঝুলিতে।
কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের প্রথম সেমিফাইনালে এদিন টসে জিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দফায় ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই ঝড় তোলেন স্মৃতি মন্ধনা। নিজেরই রেকর্ড ভেঙে ভারতের হয়ে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন নজির গড়ে ফেললেন তিনি। এদিন মাত্র ২৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন স্মৃতি। যা কিনা ভারতের ওম্যানস ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরির নিজের রেকর্ডই ভাঙলেন স্মৃতি।
শেফালি ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে এদিন ভারতের হয়ে শক্ত ভীত গড়েছিলেন স্মৃতি মন্ধনা। প্রথম উইকেটে ৭.৫ ওভারেই এই জুটি যোগ করেন ৭৬ রান। শেফালি অবশ্য ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। শেফালি ফিরে যাওয়ার পরের ওভারেই ৮ টি বাউন্ডারি এবং ৩ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে মাত্র ৩২ বলে ৬১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলে ফেরেন স্মৃতি মন্ধনা। দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যান তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা জেমিমা রদ্রিগেজ। ৩১ বলে ৪৪* রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে বড় রানে এগিয়ে নিয়ে যান। সার্বিকভাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান দাঁড় করায় ভারতের নারী ব্রিগেড।
দ্বিতীয় দফায় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে সোফিয়া ডাঙ্কলে(১৯) এবং এলিস ক্যাপসে(১৩) দ্রুত ফিরে গেলেও এরপর ইংল্যান্ডকে ভরসা জুগিয়েছিলেন ড্যানিয়েল ওয়াট(৩৫), নাটালি স্কিভার(৪১), অ্যামি জোনসরা(৩১)। তবে শেষ পর্যায়ে ভারতীয় বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিংএর মাধ্যমে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় নিশ্চিত করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন