আনোয়ার আলি নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। আনোয়ারকে নির্বাসিত করে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও শাস্তি দেয় ওই কমিটি। তবে আপাতত আনোয়ার ইস্যুতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে নিজেদের আইএসএল অভিযান শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে লাল-হলুদ ক্লাব। দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আনোয়ার আলির নির্বাসনে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় আদালত। ফলে শনিবার আনোয়ারকে বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচে রেখেই প্রথম একাদশ সাজানোর সুযোগ থাকবে ইস্টবেঙ্গলের।ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি’কে আনোয়ার আলি ইস্যুতে ফের মামলা শুনতে বলেছে হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি আনোয়ারকে দেওয়া NOC-ও খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট।
এআইএফএফ-এর আইনজীবী আদালতে জানান, আনোয়ার বিতর্কে অভিযোগগুলি লিখিত নয় ৷ পালটা আদালত প্রশ্ন তোলে, লিখিত কারণ ছাড়া কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়? দিল্লি এফসি’র কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দিল্লি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান ৷
প্রসঙ্গত, আনোয়ার আলিকে সই করিয়ে বাজিমাত করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই চুক্তি নিয়ম বহির্ভূত বলে সরব হয় মোহনবাগান। এই সইয়ের জন্যই শাস্তি পান আনোয়ার আলি। শাস্তি পায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও দিল্লি এফসিও। প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি এই ভারতীয় ডিফেন্ডারকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করে এবং আগামী দু’টি ট্রান্সফার উইন্ডোয় কোনও ফুটবলার সই করানো নিয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ও আনোয়ারকে মিলিতভাবে ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও জানানো হয়। এই টাকা পাবে মোহনবাগান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন