লড়াই আর জেদের মিশ্রণে প্রত্যাবর্তনের আর এক নাম বোধহয় দীপা কর্মকার। উজবেকিস্তানের তাসখন্দে আয়োজিত মহিলাদের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকে এশিয়ান জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসেবে সোনা জিতেলেন তিনি। দীপার স্কোর ছিল ১৩.৫৬৬। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে উত্তর কোরিয়ার কিমং সং ইউন ও জো কিয়ন বোল। তবে বিষয়টা এত সহজ ছিল না। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, দীপা আদৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারবেন কি না সেই বিষয়েই সন্দেহ ছিল।
এর আগে রিও অলিম্পিকে চতুর্থ হন ভারতীয় এই জিমন্যাস্ট। গত বছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরলেও, ভালো পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। এরপরে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ায় কেরিয়ার সংকটের মুখে পরে যায়। কতটা কঠিন ছিল ফিরে আসা?
দীপা পিপলস রিপোর্টারকে জানান, 'আমি কিন্তু কখনই ডোপের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। কেরিয়ারে কখনও এই শিক্ষা পাইনি। তবে দোষ না করেও যখন সেই শাস্তি পাই ভেতরে ভেতরে খুব কষ্ট হয়েছিল। অনেক কাছের মানুষ বলেছিল আমার কেরিয়ার শেষ। আমি কিন্তু কখনও আস্থা হারাইনি। নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। জানতাম ফিরে আসতে পারব। সত্যি বলতে, সমালোচকরাও কখনও কখনও জেদ তৈরী করে'।
এবার প্যারিস অলিম্পিকে দীপা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি একটুর জন্য। তাঁর পয়েন্ট ছিল ৪৬, আর যোগ্যতামানের জন্য পয়েন্ট দরকার ছিল ৫০। পরবর্তী অলিম্পিকে আদৌ দীপা যেতে পারবেন কিনা সেটা কোটি টাকার প্রশ্ন। কারণ তখন তাঁর বয়স হবে ৩৪।
যদিও দীপা বলেন, 'আমি পরের অলিম্পিক নিয়ে ভাবছি না। কী হবে কেউ জানে না। তবে ঠিক প্যারিস অলিম্পিক আমার স্বপ্ন ছিল। যার আক্ষেপ আমার কখনও যাবে না। টোকিওতেও যাওয়া হয়নি। রিও অলিম্পিকের পরে একটা স্বপ্ন আমিও সবার মতো দেখেছিলাম পদক জয়ের। তবে নানা কারণে সেটা হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না। জানি না জিততে পারব কিনা অলিম্পিক পদক। তবে লড়াই জারি থাকবে। আর বয়স নিয়ে ভাবি না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন