ইডেনে আরসিবিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর এই ম্যাচে ব্যাট হাতে সমস্ত আলো কেড়ে নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। শার্দুলের ২৯ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে ৮৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরেও ২০০ রানের গন্ডি অতিক্রম করে নাইট রাইডার্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে আসা ডু প্লেসিদের বিপক্ষে ৮১ রানে জয় তুলে নেয় শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এই ম্যাচে নাইটদের এক ক্রিকেটারের ওপর বেজায় বিরক্ত হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকার। তিনি হলেন মনদীপ সিং।
বৃহস্পতিবার রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান মনদীপ। অতীতের আইপিএল গুলিতেও প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি বলে জানান গাভাসকার। প্রাক্তন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেন, "সে (মনদীপ) প্রতিবার একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজে পান কিন্তু খুব বেশি কিছু করতে পারেন না।"
গতকাল ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৭ বলে ৩ রান করে ফিরে যাওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ডেভিড উইলির শিকার হন মনদীপ। প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও মাত্র ২ রান করে ফিরে ছিলেন মনদীপ। উল্লেখ্য, গত ম্যাচে শুধু মনদীপই নন। প্রথম বলে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান আন্দ্রে রাসেলও। ১ রান করে আউট হন অধিনায়ক নীতিশ রানাও।
গতকালের ম্যাচের কথায় এলে, শুরুতে নাইটদের একদমই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় আরসিবি। ৪৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেখান থেকে দলকে কিছুটা একা হাতেই এগিয়ে দিয়েছিলেন আফগান ব্যাটার রহমনউল্লাহ গুরবাজ। ৫৭ রান করেন তিনি। গুরবাজ ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচের হাল ধরেন রিঙ্কু সিং এবং শার্দুল ঠাকুর। যৌথভাবে এবারের আইপিএল আসরের দ্রুততম অর্ধশতক (২০ বল) করেন শার্দুল। তিনি তাঁর ২৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস সাজান ৯ টি বাউন্ডারি এবং ৩ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। যোগ্য সঙ্গ দেন রিঙ্কু সিং। ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন রিঙ্কু। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান সংগ্রহ করে কলকাতা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাইটদের স্পিন জালে জড়িয়ে পড়ে আরসিবি। বরুণ চক্রবর্তী, সুয়াস শর্মা, সুনীল নারাইনের দাপটে ১২৩ রানেই অল আউট হয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন