Sunil Chhetri: শচীন, অমিতাভ, বিরাটের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ভারত অধিনায়কের জানেন?

সুনীল ছেত্রী বলেন, আমি অনেকেরই ভক্ত। তবে সবসময় তাঁদের কাছে গিয়ে আমি আপনার বিরাট ফ্যান, এই কথা বলার সময় বা সুযোগ হয় না।
সুনীল ছেত্রী
সুনীল ছেত্রীছবি - ইন্ডিয়ান ফুটবল টিমের ফেসবুক পেজ
Published on

ভারতীয় ফুটবলে তিনি নিজেই এখন তারকা। গোলসংখ্যার নিরিখে রোনাল্ডো, মেসির পরেই সুনীল ছেত্রী। কিন্তু ভারতের বাকি তারকাদের সঙ্গে সুনীলের কেমন সম্পর্ক সেটা নিয়ে কৌতূহল সকলেরই। বৃহস্পতিবার সুনীল নিজেই জানালেন সেই কথা।

সুনীল ছেত্রী বলেন, “আমি অনেকেরই ভক্ত। তবে সবসময় তাঁদের কাছে গিয়ে আমি আপনার বিরাট ফ্যান, এই কথা বলার সময় বা সুযোগ হয় না। তাই আমার কাছে এসে যারা এ কথা বলে, তাদের আমি খুব নম্র ও ভদ্র ভাবে সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করি। একসাথে অনেকে এলেও আমি একই ধরণের ব্যবহার করি। যখনই মেরি কম দিদি-র সঙ্গে দেখা হয়, তখনই উনি বুঝতে পারেন একজন ফ্যান ওঁনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। অলিম্পিকে সোনা জিতে আসার পরে নীরজ চোপড়ার সঙ্গে যখন দেখা হয়েছিল, তখন ওর-ও আমার মতোই সমস্যা হয়েছিল। কারণ, ওর স্বভাবও অনেকটা আমার মতো”।

প্রথমবার যখন দেখা হয় কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে, তখনও কি একই রকম ভাবে কার্যত নির্বাক ছিলেন ভারতীয় ফুটবল অধিনায়ক? সুনীলের উত্তর, “মিস্টার বচ্চনকে যখন প্রথম দেখি, তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়, শুরুর দিকে একটু থমকে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরে অনেকটা সাহস সঞ্চয় করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করি যে ওনাকে বলেই দিই, আমি ওনার বড়ো ফ্যান। তখন আমার স্ত্রী-ও আমার সঙ্গে ছিল”।

শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে প্রথম দেখাতেও প্রায় একই রকম কাণ্ড ঘটে। সেই স্মৃতি হাতড়ে সুনীল বলেন, “শচীন তেন্ডুলকর ও আমি একটা ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। সেখানেই আমার আর ওঁর প্রথম দেখা। উনি আমার সঙ্গে খুব হেসে, বিনয়ী হয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। আমি নিজেকে একটু গুটিয়ে রাখছিলাম। সব সময় যে একজন বড় মানুষকে দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলি তা নয়। আমি আসলে তাঁকে (শচীন) বোঝাতে পারছিলাম না যে, আমার কাছে বা সারা দেশের কাছে তাঁর গুরুত্ব কতটা। এইসব সময়গুলোতেই নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলি আমি। আইএম বিজয়নকে যখন প্রথম দেখি, তখনও এরকমই মুগ্ধ হয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম”।

বিরাট কোহলি আর সুনীলের খুব ভালো সম্পর্ক। ভারত অধিনায়ক বিরাটকে নিয়ে বলেন, “আসলে আমরা একে অন্যকে ভালো বুঝি। যখন দেখা হয়, তখন আগের বার যেখানে কথা শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই ফের কথা শুরু করি। দু’জনকেই কতটা চাপ নিতে হয়, প্রত্যাশা পূরণের জন্য নিজেদের পারফরম্যান্স সেরা জায়গায় রাখার দায় আমাদের দু’জনেরই, এইসব নিয়ে আলোচনাও হয়”।

সুনীল ছেত্রী
Sunil Chhetri: ছোটবেলায় বাবা-মাকে না জানিয়েই স্কুল পরিবর্তন সুনীলের! কেন জানেন?

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in