ষষ্ঠ বারের মতো ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেলো মহামেডান স্পোর্টিং। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাঙ্গালুরু ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের মধুর বদলা নিলো শতাব্দী প্রাচীন স্থানীয় ক্লাবটি। সোমবার অতিরিক্ত সময়ের লড়াইয়ে ব্যাঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে ৪-২ ব্যবধানে ধরাশায়ী করলো সাদা-কালো জার্সিধারীরা।
ডুরান্ড কাপের ১৩০ তম আসরে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে একমাত্র মহামেডান স্পোর্টিং। গ্রুপ পর্বে এই ব্যাঙ্গালুরু ইউনাইটেডের কাছে হারতে হয় তাদের। মহামেডান সেই হারের মধুর বদলা নিলো সেমিফাইনালে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফলাফল ২-২ ব্যবধানে ড্র থাকার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। প্রায় ২৫ হাজার দর্শকে ভরা যুবভারতীতে অতিরিক্ত সময়ে বাজিমাৎ করে ব্ল্যাক প্যান্থাররা।
ম্যাচের শুরুতেই এদিন পেড্রো মঞ্জির গোলে হতভম্ব হয়ে পড়ে আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেরা। তবে বেশিক্ষণ লীড ধরে রাখতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু ইউনাইটেড। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মার্কোস জোসেফ স্পোর্টিংকে শীঘ্রই সমতা এনে দেন। এরপর ফইজল আলি মহামেডানকে এগিয়ে দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে লোকাল বয় কিংশুক প্রামাণিকের গোলে সমতা ফিরে পায় ব্যাঙ্গালুরু। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় ২-২ ব্যবধানে। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
অতিরিক্ত সময়ে ব্র্যান্ডনের গোলে লীড বাড়ানোর অল্প সময় পরেই মহামেডান ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় নিকোলা স্টোজ্যানোভিচের গোলে। ১১০ মিনিটের মাথায় নিকোলা মহামেডানকে নিশ্চিত জয় এনে দেন। এই জয়ের সাথে সাথেই ২০১৩ সালের পর আবারও ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ব্ল্যাক প্যান্থাররা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন