ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ৪ বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হল ভারতের হয়ে এশিয়ান গেমসে রুপো জয়ী স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদকে। ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (NADA) এই নির্দেশ দেয়। যার জেরে আগামী বছর অলিম্পিক্সেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারকা অ্যাথলিট।
দ্যুতি চাঁদের আইনজীবী পার্থ গোস্বামী বলেন, দ্যুতি স্বচ্ছ ক্রীড়াবিদ। উনি এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা এটা জোর দিয়েই বলতে পারি নিষিদ্ধ দ্রব্যটি অনিচ্ছাকৃতভাবেই শরীরে নেওয়া হয়েছিল। ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য গ্রহণ করা হয়নি। ৪ বছরের নির্বাসনের বিরুদ্ধে আমরা আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আশা করছি আবেদন প্যানেলের বিচারকদের সমস্ত বিষয়টা বোঝাতে সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, দ্যুতির কেরিয়ার খুবই উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার। এক দশক ধরে শত শত ডোপ টেস্ট করেছেন এবং সমস্ত পরীক্ষায় সম্মানের সঙ্গে পাস করেছেন।
অ্যান্টি-ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্রীড়াবিদ এবং তাঁর আইনজীবী ন্যাশনাল ডোপ টেস্টিং ল্যাবরেটরির রিপোর্টে নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেছেন অনিচ্ছাকৃতভাবে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। সাথে এও দাবি করেছেন ক্রীড়াবিদের ফিজিওথেরাপিস্ট ওই দ্রব্য সেবনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এই রিপোর্টেই উল্লেখ রয়েছে, দ্যুতি নাকি তাঁর এক বন্ধুকে নিষিদ্ধ দ্রব্য কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলেন। যিনি আবার এই মামলার একজন সাক্ষী।
দ্যুতি চাঁদ ন্যশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির ২.১ এবং ২.২ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। সেই কারণেই চার বছরের নির্বাসনের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের ৫ এবং ২৭ ডিসেম্বর ক্রীড়াবিদের দু'বার ডোপ টেস্ট হয়। দু'বারই তিনি ব্যর্থ হন। তখন তাঁকে কিছুদিনের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন