কুস্তিগীর সাগর রানা হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত সুশীল কুমারকে আরও ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ এসেছে গতকালই। কোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। পুলিশ বিশ্বাস করে যে, ৩৭ বর্ষীয় অলিম্পিক পদক জয়ী সাগর রানা হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। এবার সুশীলের বিরুদ্ধে আরোও এক পুরোনো মামলা নতুন করে সামনে এসেছে।
নিজের প্রাপ্য ৪ লক্ষ টাকা চাওয়ায় সুশীল কুমার মারধর করেছিলেন বলে জানান সতীশ গোয়েল নামের এক ছোটো ব্যবসায়ী। সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ সুশীলের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর জারি করেছিলেন। তবে পুলিশ তখন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবার সাগর রানা হত্যাকান্ডের পর সেই মামলাও সামনে আনা হচ্ছে।
সতীশ গোয়েল নামের ওই ব্যবসায়ী জানান, ছত্রসাল স্টেডিয়ামে তিনি ১৮ বছর ধরে রেশন দিয়ে আসছেন। যখন সৎপাল সিং ওই স্টেডিয়ামের কোচ ছিলেন। করোনা ভাইরাস মহামারীতে ২০২০ সালের লকডাউনের সময় বীরেন্দ্র নামের এক কোচ সতীশকে রেশনের অর্ডার করতে থাকেন। মোট চার লক্ষ টাকা পাওনা থাকে ওই ব্যবসায়ীর।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অশোক নামের এক ব্যক্তি সতীশকে একদিন স্টেডিয়ামে ডাকে এবং তার কাছে সমস্ত বিল নিয়ে যান। এরপরের দিনই ধর্মা নামের এক ব্যক্তি সতীশকে ডেকে সুশীল কুমারের সামনে তার সমস্যা জানাতে বলেন। স্টেডিয়ামে পৌঁছে সুশীলের কাছে ওই দোকানদার নিজের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেবার কথা বলেন। তিনি বলেন, "যে রেশন দেওয়া হয়েছে তার পেমেন্ট না পেলে আমি মরে যাব।"
কিন্তু এরপরেই যা ঘটেছে তা কল্পনার বাইরে। অলিম্পিকে ভারতকে পদক এনে দেওয়া সুশীল বলেন, "ওহ! তুমি মরে যাবে? তাহলে ঠিকাছে মরে যাও।"এরপর সুশীল তার ছেলেদের ধাক্কা মেরে বের করে দিতে বলেন সতীশকে। সতীশ কোনোরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসেন এবং এক সপ্তাহ নিজেকে ঘরেই বন্দি রাখেন। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে এবার পুলিশের তরফ থেকে সতীশকে ডেকে পাঠানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন