পঞ্জাব এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের পরের রাউন্ডে উঠে গেল ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ গ্রুপ থেকে একমাত্র দল হিসেবে কোয়ালিফাই করে শেষ আটে লাল হলুদ ব্রিগেড।
এদিন কিশোরভারতীতে শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে রাখে লাল হলুদ ব্রিগেড। যদিও ম্যাচের ১০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের বক্সে ঢুকে পড়েছিল পঞ্জাব। রিকি বলটি ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক গিলের হাতে না মারলে ফল অন্য হতেই পারত। এরপর ম্যাচের ২২ মিনিটে সিভেরিওর গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমে ফ্রি-কিক থেকে গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে সেই বলটি কর্ণার হয়ে যায়। সেখান থেকেই বোরহা কর্ণার নেন এবং সিভেরিওর হেডে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে ফের সুযোগ তৈরি করেছিল সিভেরিও। মহেশের বাড়ানো বলে সিভেরিও হেড দেন। সেটি অবশ্য পোস্টে লেগে ফিরে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে।
হাফটাইমের পরে ৬৩ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। অসাধারণ দৌড় নেন ডার্বি জয়ের নায়ক নন্দকুমার। কিন্তু সফল হতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বলের দখল নেয় পঞ্জাব ডিফেন্স। ৭৮ মিনিটে পঞ্জাবের বক্সে পৌঁছে গিয়েছিল কেল্টন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। এরপরে দলে পরিবর্তন করেন লাল হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত। এবার মহেশ নাওরেমকে বসিয়ে সুহেরকে নামায় ইস্টবেঙ্গল। ফের দারুণ একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন নন্দকুমার। তবে ফিনিশ দিতে পারেননি । ম্যাচের ফুল টাইমের পরে অতিরিক্ত ৬ মিনিটে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন পঞ্জাব মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে লড়াইয়ে ফিরে আসার, কিন্ত পারেনি। জয় দিয়েই মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন