কলকাতা লিগের শততম ডার্বি জিতে নিল ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতীতে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল লাল হলুদ ব্রিগেড। পর পর দু'টি ম্যাচে ড্র-র পর এই ম্যাচে হেরে বেশ চাপে মোহনবাগান।
শনিবার প্রথম থেকেই ম্যাচ নিজেদের দখলে রাখে ইস্টবেঙ্গল। শুরুতেই ৫ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। তবে কর্নার থেকে কোনও গোল আসেনি। ১৬ মিনিটে মোহনবাগান বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে ফ্রি কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেও গোল পায়নি লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ১৯ মিনিটে প্রায় গোল করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দ্বিতীয় পোস্টে কেউ না থাকায় মোহনবাগানকে গোল হজম করতে হয়নি। ২৮ মিনিটে কর্নার পায় মোহনবাগান। তবে সহজেই বল ক্লিয়ার করে দেয় ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের সায়ন ব্যানার্জি মাঠে নামার পর থেকে বেশি আক্রমণাত্মক দেখায় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। ৫০ মিনিটে মোহনবাগান বক্সে গিয়ে অসাধারণ গোল করেন পি ভি বিষ্ণু। প্রথম গোল করার পরে আক্রমণ থামায়নি ইস্টবেঙ্গল। ৬৪ মিনিটে মোহনবাগান ডিফেন্ডার সৌরভের ভুলের সুযোগ তোলেন জেসিন টিকে। তাঁর পা থেকে আসে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোল। মোহনবাগানের গোলরক্ষক রাজা বর্মন বল পাস বাড়ান সৌরভকে। বল ছিনিয়ে নেন অমন । তারপর পাস দেন জেসিন টিকেকে। বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি জেসিন।
৭৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ১০ জনে হয়ে যায়। মোহনবাগানের ফুটবলারকে সাইডলাইনে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন জোসেপ জাস্টিন। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ফিফা রেফারি প্রাঞ্জল বন্দোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ততে যদিও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ম্যাচ যখন নিশ্চিত জয়ের মুখে ইস্টবেঙ্গল তখনই ইনজুরি টাইম শেষ হওয়ার ১ মিনিট আগে টাইসনের পাসে হেড থেকে অসাধারণ গোল করেন মোহনবাগানের সুহেল ভাট। তবে শেষ অবধি ডার্বি জিতেই মাঠ ছাড়লো ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগে তাদের জয়ের হ্যাটট্রিক হল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন