বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে চলতি আইএসএলে প্রথম হারের মুখ দেখলো ইস্টবেঙ্গল। খেলার ফলাফল ২-১। চলতি লিগে প্রথম জয় পেলো বেঙ্গালুরু। তবে বুধবার হেরে যাওয়ার মতো পারফরম্যান্স ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। তা সত্ত্বেও হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। এই ইস্যুতে ফের একবার প্রশ্ন উঠলো রেফারিং নিয়ে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় মহেশ সিংয়ের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু তাদের ছন্দপতন ঘটে ছ’মিনিট পরেই। সুনীল ছেত্রীকে নিজেদের বক্সের মধ্যে ফাউল করে তাদের পেনাল্টির সুযোগ করে দেন মন্দার রাও দেশাই। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা আনেন সুনীল। দ্বিতীয়ার্ধে হার্নান্ডেজের অসাধারণ গোলেই শেষ পর্যন্ত চলতি লিগের প্রথম জয় ও প্রথম পয়েন্ট অর্জন করে বেঙ্গালুরু এফসি।
ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে কুয়াদ্রাত বলেন, "আমার ভালো লাগছে যে, আমরা আজ সব দিক থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেছি। বেঙ্গালুরু যেখানে চারটে শট মেরেছে, সেখানে আমরা ১২টা শট মেরেছি। এর মধ্যে দুটো শট আমরা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছি। এই সংখ্যাটা আমাদের বাড়াতে হবে। তবে আমার দলের ছেলেদের কোনও দোষ দেব না। তাদের চাপে ফেলতেও চাই না আমি। সমর্থকদের এবং আমাদেরও সবাইকে বুঝতে হবে, ফুটবলে এরকমই"।
তিনি আরও বলেন, "বক্সের মধ্যে কে কী রকম খেলছে, তার ওপর নির্ভর করে সব কিছু। ওরা দুটো শট গোলে রেখেছে, দুটো থেকেই গোল পেয়েছে। আমরা কিন্তু অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। সুনীল খুবই স্মার্টগেম খেলেছে। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়েও সন্দেহ রয়েছে আমার। জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে হ্যান্ডবল হওয়া সত্ত্বেও রেফারি পেনাল্টি দেননি। এই ম্যাচেও তার পুনরাবৃত্তি হলো। এই সিদ্ধান্তগুলি আমাদের বিপক্ষে না গেলে আমরা ভালো জায়গায় থাকতাম। আমাদেরও এই ম্যাচে ও গত ম্যাচে নিশ্চিত পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। এই দুটো পেনাল্টি পেলে হয়তো আমরা অন্য জায়গায় থাকতাম"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন