আগামী রবিবার ১৩২তম ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। আর ২০০৪ সালের পরে এবার ফের ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বি। তবে এবারে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ডুরান্ড কমিটিকে চিঠিও দিয়েছেন। যদিও রেফারি নিয়ে ভাবছেন না লাল-হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত।
কার্লেস কুয়াদ্রাত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'রেফারিং আমার হাতে নেই। বিভিন্ন ক্লাবের কর্তারাও রেফারিং নিয়ে সওয়াল তুলেছে। এটা শুধু কলকাতার ফুটবলের সমস্যা নয়, সার্বিকভাবে ভারতীয় ফুটবলের সমস্যা। আশা করছি এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আইএসএলে রেফারিংয়ের মান উন্নত হবে। তবে এইধরনের ম্যাচে বিদেশি রেফারি আনা হলে হয়তো ভালো হত।'
২০১২ সালে ট্রেভর মর্গ্যানের জমানায় শেষবার সর্বভারতীয় ট্রফি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ফেড কাপের পরে ট্রফি নেই শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাবে। তবে সমর্থকরা গত ৪ বছরের পারফরম্যান্স ভুলে আবার স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন কুয়াদ্রাত। ১৯ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে লাল হলুদ।
২০০৪ সালে ২-১ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবারও কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? কুয়াদ্রাত বলেন, 'আমরা প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও দু'গোল হজম করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র করেছিলাম। তারপর ডার্বি জেতায় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নতুন দল, নতুন ফুটবলার, মানিয়ে নিতে, টুর্নামেন্টের গুরুত্ব বুঝতে একটু সময় লাগবেই। সেমিফাইনাল জয় অনেকটাই সাহায্য করেছে। আমরা জানি কোন জায়গা থেকে এখানে পৌঁছেছি। তবে এখনও অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে। একটা নতুন প্রজেক্টে কিছুটা সময় তো লাগবেই। ক্লেইটন এখনও প্রথম একাদশে শুরু করতে পারেনি।'
প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, 'ওরা এএফসি কাপ খেলছে। পরপর ম্যাচ জিতছে। নেপাল, বাংলাদেশ, এমনকি ভারতের চ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়েছে। মানসিক এবং শারীরিকভাবে ওরা শক্তিশালী। তবে বড় মার্জিনে জিততে পারেনি। বেশিরভাগ ম্যাচেই গোল হজম করেছে। আমাদের এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। আমরা সেরা ফুটবলটা খেলতে পারলে ট্রফি জয় সম্ভব হবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন