গত ৩ বছরের ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছে দল। গ্রুপের ম্যাচে মোহনবাগানকে হারায়, অর্থাৎ বহুদিন পরে ডার্বি জয়।আইএসএলেও দল তুলনামূলক ভালো খেলছে। নতুন বছরে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতও দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন।
নতুন বছরে কুয়াদ্রাত জানান, "আমার কোচিং জীবনে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। যে কোনও বড় ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ। কাগজে কলমে সেরা দল যে মাঠেও সেরা হবে, তার কোনও মানে নেই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ফোন পেয়ে বুঝেছিলাম, এটা একটা বড় ক্লাব, ঐতিহাসিক ক্লাব। ওরা শুরু থেকেই চেয়েছিল আমি ওদের ক্লাবের পরিস্থিতিতে একটা পরিবর্তন এনে দিই। পরবর্তী দুই মরশুমের জন্য ওরা আমাকে একটা প্রকল্প দিয়েছিল। আমি যে একটা শতবর্ষের ক্লাবকে ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে পারি বলে মনে করেছেন ক্লাব কর্তারা, এটা আমার কাছে খুবু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল। আমরা কথা বলা শুরু করি এবং আমাদের দুপক্ষের মতের মিল হওয়ায় আমি প্রস্তাব গ্রহণ করি।"
তিনি আরও বলেন, আমি কলকাতায় এসে পৌঁছনোর পরে যে ভাবে হইহুল্লোড় করা হয়, তখনই বুঝি ইস্টবেঙ্গল কত বড় ক্লাব। ভোর চারটের সময় এয়ারপোর্টে নতুন কোচকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন প্রচুর সমর্থক। এর থেকেই বুঝতে পারি ওরা আমাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে এবং আমারও নিজেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল এবং আরও একবার মনে হয়, আমাকে ওরা বিরাট পরিবর্তনের প্রত্যাশায় নিয়ে এসেছে এবং সত্যিই এই পরিবর্তন ওদের কাছে কতটা জরুরি।
পাশাপাশ ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, "ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ওঠা আমাদের পক্ষে খুবই জরুরি ছিল। কারণ, এর ফলে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটা ইতিবাচক বার্তা দিতে পেরেছিলাম আমরা। আমি ভাবতেই পারিনি, এত সমর্থক মাঠে এএসে দলের জন্য গলা ফাটাবেন। তখনই আমি উপলব্ধি করি যে, এরকম আরও কয়েকটা জয় প্রয়োজন ক্লাবের। সে দিন ক্লাবের খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফকে বলেছিলাম, আমাদের এ রকম আরও সাফল্য এনে দিতে হবে ক্লাবকে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন