নতুন বছর ২০২৪ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য অনেক আশা। প্রাথমিক টার্গেট তাঁদের আইএসএলে প্রথম ৬ তে উঠে সম্মানের সঙ্গে শেষ করা। সেই জন্য জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন ফুটবলার আনাকে পাখির চোখ করছে লাল হলুদ ব্রিগেড। ক্লাবকর্তারা কোম্পানিকে অর্থ সাহায্য করতেও প্রস্তুত।
প্রাক্তন আইএসএল জয়ী কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত এ বার লাল-হলুদ বাহিনীর দায়িত্বে। তাঁর সহকারী প্রাক্তন আইএসএল জয়ী ফুটবলার দিমাস দেলগাদো। ভারতে কোচিং করানোর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে ৫৪ বছর বয়সী কুয়াদ্রাতের। ২০১৬ থেকে কুয়াদ্রাত বেঙ্গালুরু এফসি-র সহকারী কোচের পদে ছিলেন। তার ছোঁয়ায় স্বপ্ন দেখছে ইস্টবেঙ্গল।
ফলস্বরূপ বহু বছর পরে ক্লাব ডার্বিতে জয় পেয়েছে। গত আইএসএলে ন’নম্বরে থেকে লিগ শেষ করার পর দলের এক ঝাঁক ফুটবলারকে ছেড়ে দেয় লাল-হলুদ বাহিনী। ভারতীয় ফুটবলার জেরি লালরিনজুয়ালা, সেম্বয় হাওকিপ, সুমিত পাসি, শুভম সেন, নবীন কুমার, অমরজিৎ সিং কিয়াম ও হীমাংশু জাঙরা এবং বিদেশী ফুটবলার অ্যালেক্স লিমা, চ্যারিস কিরিয়াকু, জেক জার্ভিস ও জর্ডন ও’ডোহার্টিকে বিদায় দেয় তারা।
এই মরশুমের জন্য নতুন করে দল সাজানো হয়। জুনে সিনিয়র ডিফেন্ডার হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা, মান্দার রাও দেশাইকে সই করায় তারা। তার আগে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড হাভিয়ে সিভেরিও ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সল ক্রেসপোকে সই করায় কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। এ ছাড়া হায়দরাবাদ এফসি থেকে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরা গঞ্জালেসকেও নিয়ে আসা হয়। যোগ দেন আর এক স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হোসে পার্দো। এ ছাড়া গত মরশুমের দলে থাকা ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভা তো ছিলেনই। ছিলেন দলের নির্ভরযোগ্য উইঙ্গার নাওরেম মহেশ সিংও।
অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জর্ডন এলসিকে। ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ আগলানোর দায়িত্বে ছিলেন জর্ডন। কিন্তু ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় হাঁটুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। পরে ক্লাবের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বেশ কয়েকমাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। তাঁর জায়গায় জর্ডন থেকে নিয়ে আসা হয় তাদের জাতীয় দলে খেলা ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরকে।
ওডিশা এফসি থেকে সফল ভারতীয় উইঙ্গার নন্দকুমার শেখর, কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে ডিফেন্ডার নিশু কুমারকেও সই করায় কলকাতার ক্লাব। কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে তিন বছরের জন্য তারা নিয়ে আসে পাঞ্জাবের গোলকিপার প্রভসুখন গিলকেও। এ ছাড়া যে দেশীয় ফুটবলাররা গতবারও ছিলেন, সেই ডিফেন্ডার লালচুঙনুঙ্গা, তুহিন দাস, মহম্মদ রকিব, মিডফিল্ডার মোবাশির রহমান, শৌভিক চক্রবর্তী ও ফরোয়ার্ড ভিপি সুহেরকেও দলে রেখে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন