বিগত বছরের মত এবছরও বিরোধী শূন্য থেকে গঠিত হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নতুন কমিটি। কমিটিতে যুগ্ম সচিব থেকে সচিব হলেন রূপক সাহা। তিনি এলেন কল্যাণ মজুমদারের জায়গায়। প্রণব দাশগুপ্তর জায়গায় নতুন সভাপতি হলেন মুরারি লাল লোহিয়া। তবে পরামর্শদাতা হিসেবে থাকবেন প্রণব দাশগুপ্ত।
সচিব থেকে সহ সভাপতি হলেন কল্যাণ মজুমদার। বাকি সহ সভাপতিরা হলেন অজয় কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, শঙ্কর বাগড়ি, শুভাশিস চক্রবর্তী, রাহুল টোডি। সহ সচিব হলেন শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, সদানান্দ মুখার্জী। ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়, টেনিস সচিব ইন্দ্রনীল গুহ, রজত গুহ মাঠ সচিব।
কার্যকরী কমিটিতে এলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামী। এছাড়া কার্যকরী কমিটিতে আছেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সহ সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়, বাবু ভট্টাচাৰ্য, সিদ্ধার্থ সরকার, বিশ্বজিৎ মজুমদার, অরিত্র রায় চৌধুরী, তমাল ঘোষাল, বেণীমাধব ভট্টাচাৰ্য, মলি গঙ্গোপাধ্যায়, দেবাশিস বসু, বিপ্লব পাল সহ বাকিরা।
কার্যকরী কমিটিতে এসে ঝুলন গোস্বামী জানান, 'আমি কখনও ভাবিনি এমন একটা সম্মান পাব। এর জন্য ক্লাবের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ। আমার সীমিত অভিজ্ঞতা দিয়ে ক্লাবকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল, ক্রিকেট টিম, হকি, টেনিস সব বিভাগে ক্লাব উন্নতি করুক সেটাই চাই'।
বিদায়ী সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত জানান, '৩০ বছর আছি। রক্ত ইস্টবেঙ্গল। সব ভালো জিনিসের শেষ আছে। গত ৫ বছর ধরে বলে এসেছি আমার জায়গায় কাউকে আনতে। আমার থেকে বয়সে ছোট যোগ্য কাউকে আনতে। আমি খুব খুশি মুরারিকে আনা হয়েছে। সত্যি খুব ভালো বিষয়। আমি পরামর্শদাতা হিসেবে বলব কম শুনব বেশি'।
ক্লাবের নতুন সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া বলেন, 'আমি এমন একটা চেয়ার পেলাম বুঝতে পারছি না কী করব। তবে এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। আমি কয়েকমাস আগেই বলেছিলাম যদি কিছু সাহায্য করতে পারি, আর ওরা আমাকে এই সম্মান দিল। ইস্টবেঙ্গলকে এশিয়ার সেরা ক্লাব করতে চাই আমি।'
ক্লাব বিরোধী শুন্য কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে লাল হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, 'বিরোধী নেই কেন আমি কী করে বলবো! ওদের তৈরি করার দায়িত্ব তো আমি নিইনি। আর আমরা এমন কোনো কাজ করিনি যেখানে বিরোধী তৈরি হবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন