জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে দলকে শক্তিশালী করতে তৎপর ইস্টবেঙ্গল। সেই লক্ষ্যেই রিয়েল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, টটেনহ্যাম হটস্পার এবং জুভেন্টাসের মতো দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই ফুটবলারকে দলে নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল।
স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ইয়াগো ফালক সিলভাকে সই করাতে চলেছে লাল হলুদ ব্রিগেড। আপাতত সুপার কাপের জন্য তাঁর নাম রেজিস্টার করা হচ্ছে সিভেরিওর জায়গায়। ৯ জানুয়ারি ভুবনেশ্বরে হায়দরাবাদ এফসি'র বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল।
সুপার কাপে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। এখনও পর্যন্ত ইষ্টবেঙ্গলের হয়ে সবচেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন হাভিয়ে সিভেরিও। যিনি গত দশ ম্যাচে খেললেও না কোনও গোল পেয়েছেন, না কোনও অ্যাসিস্ট করতে পেরেছেন। সিভেরিওর ছন্দে ফেরা অবধি কুয়াদ্রাত অপেক্ষা করবেন কি না, সেটাই দেখার।
এখনও পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের মাত্র চারজন ফুটবলার গোলের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন চলতি মরশুমে। নন্দকুমার গত মরশুমে যেমন ওড়িশা এফসি-র হয়ে ভালো ও ধারাবাহিক ছন্দে ছিলেন, এবার একেবারেই সেই ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে না তাঁর মধ্যে। ফলে কুয়াদ্রাত একজন ভারতীয় ফরোয়ার্ডের অভাবে ভুগছেন। ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, জয় পেতে হলে ইস্টবেঙ্গলকে আক্রমণে শক্তি আরও বাড়াতে হবে, প্রতিপক্ষের গোলের সামনে আরও নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং আরও তৎপর হয়ে উঠতে হবে।
গত মরশুমের বেশিরভাগ ম্যাচেই খেলার সুযোগ না পাওয়ার পর এই মরশুমে মাঝমাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন শৌভিক চক্রবর্তী। কুয়াদ্রাতের সিস্টেমে তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তিনি একটু বেশিই কার্ড দেখেন। চলতি লিগে ইতিমধ্যেই চারটি হলুদ কার্ড দেখা হয়ে গিয়েছে তাঁর। কার্ড সমস্যার জন্য বা কোনও ম্যাচে চোটের জন্য খেলতে না পারলে, তাঁর যোগ্য বিকল্পও নেই ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। সল ক্রেসপোর সঙ্গে শৌভিক না থাকলে, মাঝমাঠে একটা বড়সড় ফাঁক দেখা দিচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন