ওয়েম্বলিতে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থাকলো ফুটবল বিশ্ব। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও ফলাফল গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে চেলসি গোলরক্ষক কেপার পেনাল্টি মিসে ইএফএল কাপের শিরোপা জিতে নিলো য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। স্বদেশীয় টমাস টুখেলকে আবারও একবার পরাজিত করলেন ক্লপ। এই জয়ের ফলে দীর্ঘ দশ বছর পর আবারও লীগ কাপের শিরোপা উঠলো অলরেডসদের হাতে। লিভারপুলকে প্রিমিয়ার লীগ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ, ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ জেতানো ক্লপ হাতে তুললেন প্রথম ইএফএল কাপ। এই নিয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ৯ বারের মতো কাপ শিরোপা জয়ের নজির গড়লো মার্সিসাইডের দলটি।
ওয়েম্বলিতে কারাবায়ো কাপের ফাইনালে প্রথম থেকেই শুরু হয় সমানে-সমানে লড়াই। প্রথমার্ধে দুই পক্ষই সুযোগ পায় গোল করার। তবে গোলের মুখ খোলা যায়নি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯তম মিনিটে লিভারপুল একটি গোল দিয়েই বসেছিলো। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ফ্রী-কিকের বল বক্সের বাঁপাশ থেকে হেড দেন সাদিও মানে। সেই হেডে গোলের ডানপাশে যেতে থাকা বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন জোয়েল মাতিপ। কিন্তু ভিএআরে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের অফসাইড ধরা পড়ায় বাতিল করা হয় গোলটি।
এই ম্যাচে সবচেয়ে মজার ব্যাপার যেটা ঘটেছে, তা হলো চেলসির অফসাইড থেকে গোল। সম্পূর্ণ ম্যাচে মোট তিন বার অফসাইড থেকে গোল করে ব্লুজরা। ভাগ্য সহায় হয়নি টুখেলের। ম্যাচের সম্পূর্ণ অংশ জুড়েই আলো ছড়িয়েছেন দুই গোলরক্ষক কেলেহার এবং মেন্ডি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোল অধরা থাকে দুই দলের। এরপর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। দুই দলের প্রথম পাঁচ ফুটবলারই জালে বল জড়িয়ে দেন। এরপর অন্তিম পর্যায়ে দুই দলের বাকি পাঁচ অন ফিল্ড ফুটবলারও গোল পান। অবশেষে, দুই দলের গোলরক্ষকের পরীক্ষায় বাজিমাৎ করে লিভারপুল। আইরিশ গোলরক্ষক চাওমিন কেলেহার কেপাকে পরাস্ত করেন। এরপর পেনাল্টি নিতে আসেন কেপা। মেন্ডির বদলি হিসেবে নামা এই স্প্যানিয়ার্ডের শট উড়ে যায় গোলপোস্টের ওপর দিয়ে। আর সাথে সাথেই শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে লিভারপুল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন