ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহ্যাম হটস্পারের হাইভোল্টেজ ম্যাচ শেষ হয়েছে চরম নাটকীয়তার মাধ্যমে। ম্যাচের ফলাফল ২-২ গোলে সমতায় থাকার পর যোগ করা ইনজুরি সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে, রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর ঠিক আগেই হ্যারি কেনের গোলে তিন পয়েন্ট অর্জন করে মাঠ ছাড়ে স্পার্সরা। ইপিএলের অন্য বড় ম্যাচগুলিতে ব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়েছে আর্সেনাল, ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারিয়েছে চেলসি এবং নরউইচ সিটিকে পর্যুদস্ত করেছে ক্লপের লিভারপুল।
ম্যানচেস্টার সিটির ঘরের মাঠ এতিহাদে এদিন শুরুতেই এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। ৪ মিনিটের মাথায় মিন সনের পাস থেকে গোল করে স্পার্সদের এগিয়ে দেন দেজান কুলসেভস্কি। পিছিয়ে পড়া সিটিকে ৩৩ মিনিটের মাথায় সমতা এনে দেন ইলকে গুন্দোগান। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে আবারও মিন সন নিখুঁত পাস বাড়ান। এবার গোল করেন হ্যারি কেন। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত লীড বজায় রাখার পর ইনজুরি সময়ের শুরুতেই এসে গোল হজম করতে হয় স্পার্সদের। পেনাল্টি থেকে গোল করে গার্দিওলাদের সমতা এনে দেন রিয়াদ মাহরেজ। তবে এর ঠিক দু'মিনিট বাদেই কুলসেভস্কির পাস থেকে গোল করে হটস্পারকে জয় এনে দেন হ্যারি কেন।
শনিবার রাতে আর্সেনাল তাদের ঘরের মাঠে হারিয়েছে ব্রেন্টফোর্ডকে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটে আলেক্সান্ডার ল্যাকাটেজের ক্রস থেকে গোল করে গানার্সদের এগিয়ে দেন এমাইল স্মিথ রো। ৭৯ মিনিটে আর্সেনালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন বুকায়ো সাকা। শেষ মুহূর্তে ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে একটিমাত্র গোল করতে সক্ষম হন ক্রিস্টিয়ান নরগার্ড। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে লীড রেখে তিন পয়েন্ট তুলে নেয় গানার্সরা।
অন্যদিকে ক্লপের লিভারপুল গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলে বড় জয় তুলে নিয়েছে নরউইচ সিটিকে হারিয়ে। ৪৮ মিনিটে মাইলট রাশিকার গোলে এগিয়ে যায় নরউইচ। ৬৪ মিনিটে আফকন জয়ী সেনেগাল সেনসেশন সাদিও মানের গোলে সমতা পায় লিভারপুল। এরপর ৬৭ মিনিটে মহম্মদ সালাহ এবং ৮১ মিনিটে লুইস দিয়াজের গোলে নরউইচকে হারায় য়ুর্গেন ক্লপের দল। একইদিনে হাকিম জিয়েচের একমাত্র গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারিয়েছে চেলসি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন