অ্যানফিল্ডে এক দুঃস্বপ্নের রাত কাটালো নিজেদের সেরা সময় কাটানো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রেড ডেভিলদের নিয়ে একপ্রকার ছেলেখেলা করে ৭ গোলের বন্যায় ভাসালো ক্লপের লিভারপুল। নিজেদের প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের স্বাদ পেলো ম্যান ইউ। এই ম্যাচে লিভারপুলের জার্সিতে প্রিমিয়ার লীগে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড গড়লেন মহম্মদ সালাহ।
দিনের শুরুতে এই ফলাফল কেউ হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি। নিউক্যাসলের বিপক্ষে কারাবাও কাপের ফাইনাল জেতা একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছিল ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে কোডি গ্যাকপোর গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে নামে টেন হ্যাগের দল। দ্বিতীয় হাফে অন্য মেজাজে দেখা যায় ক্লপের শিষ্যদের। রেড ডেভিলদের নাকানিচোবানি খাইয়ে ৬'গোল করে তারা। সবমিলিয়ে ৭-০ গোলে জয়। দুটি করে গোল করেন গ্যাকপো, ডারউইন নুনেজ এবং মহম্মদ সালাহ। একটি গোল করেন রবার্টো ফিরমিনো।
প্রিমিয়ার লীগে এর থেকে বেশি ব্যবধানে হারের রেকর্ড আর নেই ম্যান ইউনাইটেডের। সর্বশেষ ১৯৩১ সালে উলভসের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হেরেছিল তারা। তার আগে ১৯৩০ সালে অ্যাস্টন ভিলা এবং ১৯২৬ সালে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের কাছে ৭-০ গোলে হারে প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসের সফলতম দলটি।
নিঃসন্দেহে অ্যানফিল্ডে এক স্মরণীয় রাত কাটালো লিভারপুল। ম্যান ইউর বিপক্ষে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় জয়। এই ম্যাচে দুটি গোল করেছেন ইজিপ্শিয়ান মহাতারকা মহম্মদ সালাহ এবং দুটি গোল করিয়েছেন। আর এই জোড়া গোলের মাধ্যমে প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হয়ে গেলেন সালাহ। পেছনে ফেললেন কিংবদন্তী রবি ফাউলারকে। লিভারপুলের হয়ে ফাউলার প্রিমিয়ার লীগে ১২৮ টি গোল করেছিলেন। সালাহর গোলের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৯-এ। এই তালিকায় তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে স্টিভেন জেরার্ড (১২০ গোল), মাইকেল ওয়েন (১১৮ গোল)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন