প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চিরপ্রতিদন্দ্বী লিভারপুলকে হারিয়ে রেড ডেভিলদের হয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেলেন এরিক টেন হ্যাগ। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে আলো ছড়িয়ে ম্যান ইউনাইটেডের তরুণ ব্রিগেড নিজেদের শক্তির জানান দিলো। সোমবার দিবাগত রাতে জ্যাডন স্যাঞ্চো এবং মার্কাস র্যাশফোর্ডের গোলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ক্লপের অলরেডসদের পর্যুদস্ত করেছে রেড ডেভিলরা।
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে কটাক্ষর শিকার হয়েছিলো ইপিএলের সবচেয়ে সফলতম দল। এরিক টেন হ্যাগও অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। তড়িঘড়ি করে তিনি রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কার্লোস ক্যাসিমিরোকে দলে তোলেন। তবে এই ম্যাচে নামা সম্ভব হয়নি ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের। শুরুতে এদিন বেঞ্চে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, হ্যারি ম্যাগুইয়ার। তা সত্ত্বেও তরুণ ম্যান ইউ ঘোল খাইয়ে গেলো লিভারপুলকে। চলতি মরশুমে তিন ম্যাচে এখনও জয়ের দেখাই পেলো না ক্লপ ব্রিগেড।
অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বসিয়ে রেখে তরুণ ব্রিগেডকে মাঠে নামিয়ে কিছুটা অবাকই করে দিয়েছিলেন টেন হ্যাগ। তবে এই দল নিয়ে দুর্দান্ত প্রেসিং ও কাউন্টার-প্রেসের মাধ্যমে ম্যাচ শুরু করা রেড ডেভিলরা য়ুর্গেন ক্লপের দলকে একরকম ভড়কেই দিয়েছিল। একের পর এক আক্রমণে সফরকারীদের বিধ্বস্ত করতে থাকেন ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই গোলের খাতা খোলে ইউনাইটেডের। অ্যান্থনি এলেঙ্গার ক্রস থেকে সফরকারী লিভারপুলের জালে বল জড়িয়ে দেন জ্যাডন স্যাঞ্চো। প্রথমার্ধে এই লীড ধরে রেখেই দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে ফের একটি গোল করে যায় ম্যান ইউনাইটেড। লিভারপুলের আক্রমণের প্রতি আক্রমণেই গোল। হেন্ডারসনের ভুল পাস থেকে বল পান অ্যান্থনি মার্শিয়াল। তাঁর বাড়ানো বলে অ্যালিসনকে ফাঁকা পেয়ে যান সামনে রান নেওয়া মার্কাস র্যাশফোর্ড। সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বলটি জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি এই ইংলিশ তারকা।
রেড ডেভিলদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে পড়া লিভারপুলকে ম্যাচের ৮১ মিনিটে অক্সিজেন দিয়েছিলেন মহম্মদ সালাহ। সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ডানকোণ থেকে হেড করে গোল করেন তিনি। তবে এরপর আর গোল করতে পারেনি লিভারপুল। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ম্যান ইউ। চলতি মরশুমে প্রথম দুই ম্যাচ ড্রয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে হেরে বসলো ক্লপের দল। মাত্র এক পয়েন্টের জন্য গত মরশুমে শিরোপা হাতছাড়া করা লিভারপুলের এই পারফরম্যান্স দেখে হতাশ সমর্থকেরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন