তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখলে রেখেছিল আর্সেনাল। মিকেল আর্তেটার দল হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য। তবে গতরাতে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে নিজেদের ঘরের মাঠে ১-৩ গোলে হারতে হয়েছে গানার্সদের। সেইসঙ্গে খোয়াতে হয়েছে শীর্ষস্থানও। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পর ফের টেবিল টপারের জায়গা পেয়েছে স্কাই ব্লুজরা। যদিও আর্সেনালকে হয়তো শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার জন্য আর এক ম্যাচ অপেক্ষা করতে হবে।
এমিরেটস স্টেডিয়ামকে বলা হয় আর্সেনালের দুর্গ। কিন্তু ম্যান সিটি ম্যানেজার হিসেবে এই স্টেডিয়ামে কখনো হারেননি গার্দিওলা। এক ম্যাচ বাদে জিতেছেন প্রতিবার। কিন্তু আগের প্রত্যেকবারের চেয়ে এবারের ম্যাচটা ছিল ভিন্ন। কারণটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারের আর্সেনাল প্রিমিয়ার লীগে একপ্রকার রাজ করে চলেছে। সেই গানার্সদের বিরুদ্ধে ট্যাকটিক্যাল চমকে জয় তুলে নিয়েছেন গার্দিওলারা।
ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় সিটির হয়ে প্রথম গোলটি করেন কেভিন ডি ব্রুইন। বেলজিয়ান তারকা এগিয়ে দিলেও এই লীড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সিটি। প্রথমার্ধ শেষের আগেই বুকায়ো সাকার পেনাল্টিতে সমতা ফিরে পায় আর্সেনাল। দ্বিতীয়ার্ধে তবে দ্বিতীয়াধে খুঁজেই পাওয়া যায়নি গানারদের। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সিটি। ৭২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল এনে দেন জ্যাক গ্রিলিশ। দশ মিনিট বাদে সিটিকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন হলান্ড। লিগে এটি তাঁর ২৬তম গোল।
দুই দলেরই পয়েন্ট এখন ৫১। গোল পার্থক্যে আর্সেনালকে দুইয়ে নামিয়ে এক নম্বরে উঠে গেছে ম্যান সিটি। কিন্তু আর্সেনাল সিটির থেকে খেলেছে একটি কম ম্যাচ। গার্দিওলা তাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন না। তাঁর চোখে এখনও এক নম্বর আর্সেনালই। ম্যাচ শেষে পেপ বলেন, "ওরা একটি ম্যাচ কম খেলেছে। আমার কাছে তাই ওরাই এখন লীগের শীর্ষে। এখনও অনেক খেলা বাকি আছে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচ আছে, ইউরোপা লীগের ম্যাচ আছে। প্রচুর সমীকরণ আসবে, অনেক জটিলতা আসবে সবার জন্যই।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন