ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর রেকর্ড এবং আর্লিং হলান্ড ক্রমশ সমার্থক হয়ে উঠছে। একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। গতরাতে তাঁর মুকুটে লাগলো নতুন পালক। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে এক মরশুমে সবচেয়ে বেশি গোল করার নজির গড়ে ফেললেন এই ২২ বর্ষীয় তারকা।
গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠ এতিহাদে ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-০ গোলে হারিয়ে জয় পেয়েছে সিটি। এই জয়ের সাথে সাথেই মিকেল আর্তেটার আর্সেনালকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানও দখল করেছে গার্দিওলার দল। এই ম্যাচে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটে নাথান আকের গোলে এগিয়ে যায় স্কাই ব্লুজরা। ম্যাচের ৭০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন আর্লিং হলান্ড। যা কিনা চলতি প্রিমিয়ার লীগে হলান্ডের ৩৫ তম গোল। ৮৫ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোলটি করেন ফিল ফোডেন।
প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে এক মরশুমে ৩৪ গোল নিয়ে এত দিন যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন অ্যালান শিয়ারার ও অ্যান্ডি কোল। ১৯৯৩-৯৪ মরশুমে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের হয়ে ৩৪ গোল করেছিলেন কোল। পরের মৌসুমেই রেকর্ডটি ছুঁয়ে ফেলেন ইংলিশ গ্রেট শিয়ারার। এবার এই দুই কিংবদন্তীকে পেছনে ফেললেন হলান্ড। শিয়ারার এবং কোল যে রেকর্ড গড়েছিলেন ৪২ টি করে ম্যাচ খেলে, হলান্ড সেই রেকর্ড ৩৩ ম্যাচ খেলেই ভেঙে দিলেন। চলতি প্রিমিয়ার লীগে এখনও ৫ ম্যাচ হাতে রয়েছে হলান্ডের। কোথায় গিয়ে থামবেন এই 'গোল মেশিন'?
রেকর্ড গড়ার পর এদিন নরওয়েজিয়ান তারকাকে গার্ড অফ অনার দেয় সিটি। এ প্রসঙ্গে হলান্ড বলেন, "এরকম কিছু যে পাব ভাবিনি। তবে সবাই পিঠ চাপড়ে দেওয়ার সময় একটু ব্যাথা লেগেছিল।"
ম্যান সিটির কোচ গার্দিওলা বলেন," এটা ওর প্রাপ্য ছিল। ও বিশেষ ধরনের স্ট্রাইকার। আমরা খুবই খুশি। একদিন লীগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও ভেঙে যাবে, সম্ভবত ও-ই ভাঙবে। এ ধরনের বিশেষ উপলক্ষ এলে, সেটা যে বিশেষ কিছু তা দেখাতে হয়।"
রেকর্ড গড়ে হলান্ড বলেন, "আমি যখন এখানে এসেছিলাম তখন আমি এই ধরণের রেকর্ডের কথা ভাবিনি এবং এটি ভাঙার অর্থ আমি বিশেষ কিছু করেছি এবং আমি এই মুহূর্তে সত্যিই গর্বিত।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন