চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিল এমি মার্টিনেজের মিলনমেলা অনুষ্ঠানকে ঘিরে। মার্টিনেজকে দেখার জন্য উদ্যোক্তারা টিকিটের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু মিলনমেলা চত্বরে ছিলো না নিরাপত্তা। ফলে অভিযোগ ওঠে বহু মানুষ টিকিট ছাড়াই ঢুকে যায়। এছাড়া যাঁরা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা নাকি টিকিটের শর্তানুযায়ী কোনো সুবিধা পাননি।
তাঁদের অভিযোগ, কথা ছিল মার্টিনেজের সঙ্গে ছবি তুলতে দেওয়া হবে আর মার্টিনেজের অটোগ্রাফ দেওয়া একটি জার্সি উপহার পাবেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। যদিও উদ্যোক্তারা আশ্বাস দেন আগামীকালের মধ্যে মার্টিনেজের সঙ্গে ছবি তুলে দেওয়া হবে আর জার্সি মার্টিনেজের সই করা জার্সি দেওয়া হবে। মার্টিনেজকে ঘিরে দর্শকদের মধ্যে এতটাই উন্মাদনা ছিল যে, উদ্যোক্তারা তাড়াতাড়ি মার্টিনেজকে মিলনমেলা থেকে বের করে নিয়ে যান।
মঙ্গলবার মার্টিনেজের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যেও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। অলোক মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ নন্দী, হেমন্ত ডোরার মতো প্রাক্তন ফুটবলারেরা এমির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য মঞ্চে উঠে পড়েন। অনেকের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানেরাও ছিলেন। উদ্যোক্তাদের তরফে বার বার তাঁদের নামতে অনুরোধ করা হলেও তাঁরা তা শোনেননি। মঞ্চের সামনে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।
কলকাতায় এসে মার্টিনেজ জানান, "খুব ভালো লাগছে কলকাতায় এসে। জানতাম না ভারতে এতো ফুটবল সমর্থক আছে। আমাকে ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।" এদিন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান কর্তারা মার্টিনেজকে তাঁদের ক্লাবের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের ইলিশ আর মোহনবাগানের চিংড়ি তাঁকে দেওয়া হয়। মার্টিনেজ বলেন 'জয় ইস্টবেঙ্গল' ও 'জয় মোহনবাগান'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন