স্বপ্ন পূরণ মেসির। পাশাপাশি ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয় করল আর্জেন্টিনা। নাটকীয় ফাইনালের সাক্ষী থাকলো গোটা ফুটবল বিশ্ব।
১৯৮৬ এর পর ২০২২। দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা করতে হল আর্জেন্টাইনদের। শেষ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তী দিয়েগো মারাদোনা। রবিবার প্রথম থেকেই পুরো আর্জেন্টাইন দলটা ছন্দে ছিল। খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই একাধিক সুযোগ পায় মেসিরা। কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। ২৩ মিনিটে ডি মারিয়া কাটবাক করে ফরাসি দলের বক্সে ঢুকতে গেলে পেছন থেকে বাধা প্রাপ্ত হন। সাথে সাথেই রেফারি পেনাল্টি নির্দেশ দেন।
পেনাল্টি থেকে কোন ভুল করেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেন ডি মারিয়া (৩৬ মিনিট)। বলা যেতে পারে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোল এটি।
প্রথমার্ধ যদি আর্জেন্টিনার হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয়ার্ধ ছিল ফ্রান্সের। দ্বিতীয়ারদের শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে দিদিয়ের দেশঁর ছেলেরা। ৮০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। নিজের প্রথম গোলের দু মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোলটি করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান সেই এমবাপ্পেই। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ১২০ মিনিটে।
১০৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোল করেন বাঁ পায়ের জাদুকর। ১১৮ মিনিটে ফ্রান্সকে ফের সমতায় ফেরান এমবাপ্পেই। অবশেষে টাইব্রেকার থেকে চার দুই গোলে বিশ্বকাপ যেতে আর্জেন্টিনা।
উল্লেখ্য, ফরাসিদের হারানোর পাশাপাশি নয়া নজির গড়লেন লিও। বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজের ১৩তম গোল করে ছাপিয়ে গেলেন 'ফুটবল সম্রাট' পেলেকে। ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলে টপকে গেলেন জার্মানির লোথার ম্যাথউসকে। বিশ্বকাপে ১৭ টি ম্যাচ জিতে স্পর্শ করলেন জার্মান তারকা ক্লোজেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন