শনিবার, ১০ ডিসেম্বর সেমি ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে হেরে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছে মেসিরা। আর মাত্র দুটি বাধা। টপকাতে পারলেই স্বপ্নের ফাইনাল। তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস ঠিক কতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হতে চলেছে? পরিসংখ্যান কী বলছে? দেখা যাক –
আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে বিশ্বকাপ ও আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি মিলিয়ে মোট ৯টি ম্যাচ হয়েছে। যার মধ্যে পাল্লা ভারী ডাচদেরই। দুই দেশ প্রথম মুখোমুখি হয় ১৯৭৪ সালের ২৬ মে, আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচের মাধ্যমে। ৪-১ গোলে জিতেছিল নেদারল্যান্ডস। ওই বছরই ফুটবল বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।
কিন্তু পরের বিশ্বকাপ অর্থাৎ ১৯৭৮-র বিশ্বকাপে মধুর প্রতিশোধ নেয় আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ডাচদের ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টাইনরা। ৯০মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ১-১। ফলে খেলা গড়ায় ১২০ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়েই দুটি গোল করে ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা।
এরপর ১৯৭৯-তে ‘ফিফা সেলিব্রেশন’-এ নেদারল্যান্ডসকে পেনাল্টিতে ৮-৭ ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টাইনরা। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফের মুখোমুখি হয় দুই দেশ। সেবার অবশ্য ২-১ গোলে জেতে নেদারল্যান্ডস। ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হয় তাদের মধ্যে। প্রথমটি ১-১ ফলাফল হয়। পরেরটি ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে ডাচরা।
২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে গোলশূন্য হয় দুই দেশের ম্যাচ। ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে শেষ মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস। ১২০ মিনিট ম্যাচ ড্র থাকায় পেনাল্ট শুট-আউট হয়। তাতে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালে যায় মেসির আর্জেন্টিনা।
সব মিলিয়ে ৯টি ম্যাচে ডাচরা জয় পায় ৪টি ম্যাচে। অমীমাংসিতভাবে শেষ হয় ২টি ম্যাচ। আর্জেন্টিনার কাছে হারতে হয় ৩ বার। তবে বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে দুই দেশই সমান। ৫টির মধ্যে আর্জেন্টিনা জিতেছে ২টি, হেরেছে ২টি আর ড্র একটি। ডাচরাও তাই ২টি জয়, ২টি হার ও একটি ড্র।
কাতার বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত একটিও ম্যাচ হারেনি নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ স্টেজের প্রথম ম্যাচ সেনেগালের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচ ইউকুয়েডরের সাথে ১-১ ড্র এবং তৃতীয় ম্যাচ কাতারের সাথে ২-০ গোলে জয় অর্জন করে লুইস ভ্যান গালের ছেলেরা। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রমাণ দিয়েছে খেতাব জয়ের লড়াইয়ে তারা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে মেসিদের আক্রমণভাগ যত ভালো খেললেও রক্ষণে অনেক ত্রুটি হচ্ছে। সেই ত্রুটি কোয়ার্টার ফাইনালের আগে সমাধান না করতে পারলে ডাচদের বিরুদ্ধে জেতাটা সহজ হবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন