গত বিশ্বকাপ যেখানে শেষ করেছিল সেখান থেকেই একপ্রকার শুরু করলো ফ্রান্স। গতরাতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ৪-১ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ২০০৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের পর প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেলো ফ্রান্স। দেশঁর দলের হয়ে এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন অলিভিয়ের জিরু। এছাড়াও একটি করে গোল করেছেন অ্যাড্রিয়েন র্যাবিও এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে।
গত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের হয়ে একটিও গোল করতে পারেননি জিরু। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই তা পুষিয়ে নিলেন মিলান স্ট্রাইকার। জোড়া গোল করে ফ্রান্সের হয়ে তিন বড় রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তিনি। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রেকর্ড গড়লেন ফরাসী স্ট্রাইকার!
১. এই ম্যাচে জোড়া গোল করায় ফ্রান্সের জার্সিতে জিরুর আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা ৫১। থিয়েরি অঁরির সাথে যৌথভাবে জিরু হয়ে গেলেন ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
২. বিশ্বকাপের আসরে ৩৬ বছর ৫৩ দিন বয়সে গোল করলেন জিরু। আর হয়ে গেলেন বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সবচেয়ে বয়স্ক গোলদাতা।
৩. বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে জোড়া গোল করলেন জিরু। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড রজার মিলা। ৩৮ বছর ৩৪ দিন বয়সে বিশ্বকাপে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি।
গতকাল শুরুটা নড়বড়ে হলেও অস্ট্রেলিয়া পাত্তাই পেলো না ফ্রান্সের কাছে। প্রথমার্ধের খেলা শুরুর দশ মিনিটের মধ্যেই গডউইনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। ২৭ মিনিটে ফ্রান্সকে সমতা ফেরান অ্যাড্রিয়েন র্যাবিও। ৩২ মিনিটে র্যাবিওর পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জিরু।
প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে কাঙ্খিত গোলটি পেয়ে যান কিলিয়ান এমবাপ্পে। পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেন এই ফরাসী প্রতিভা। অস্ট্রেলিয়ার জালে শেষ বলটি জড়ান জিরু। এমবাপ্পের পাস থেকে হেডারে গোল করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন