হার্ভ রেনার্ড। যাঁর আইকনিক সাদা শার্ট বিশ্ব ফুটবলের কাছে বেশ পরিচিত। ২০১২ সালে জাম্বিয়া এবং ২০১৫ সালে আইভরি কোস্টকে তিনি জিতিয়েছিলেন আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস (আফকন) শিরোপা। সেই ফরাসি কোচের দায়িত্বেই কাতার বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে সৌদি আরব। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে আজ তাঁর ট্যাকটিকসের ঝলক দেখলো ফুটবল বিশ্ব। ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকা লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে হারালেন রেনার্ডের শিষ্যরা।
ম্যাচের আগে রেনার্ড বলেন, "আমরা পিকনিক করতে আসিনি। নিজেদের সেরাটা দিতে এবং সৌদিদের তাঁদের দল নিয়ে গর্ব করাতেই এখানে এসেছি। আমাদের ভালো পারফর্ম করতেই হবে। তাছাড়া আমাদের আর বিকল্প নেই।"
প্রতিপক্ষ দল যখন আর্জেন্টিনা তখন লড়াইটা সর্বশক্তি দিয়েই করতে হয়। তাই করে দেখালো সৌদি আরব। আর তার ফল পেল হাতেনাতে। হার্ভ রেনার্ডের ছকেই বাঁধা পড়লেন মেসি-মার্টিনেজরা। আউট অফ দ্য বক্সের যে পরিকল্পনা করেছিলেন রেনার্ড, তা মিলে গেল খাতায় কলমে। অফসাইড ট্র্যাপে জড়িয়ে বিপক্ষের ফুটবলারদের বক্সের বাইরেই আটকে দিতে চেয়েছিলেন রেনার্ড। তাঁর কৌশল যে কীভাবে ফলে গেল তার সাক্ষী থাকলো বিশ্ব ফুটবল। অফসাইডের জালেই প্রথমার্ধে তিনটি গোল বাতিল হলো আর্জেন্টিনার।
রেনার্ড বলেছিলেন, "ফুটবলে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এখানে নিজের ভাগ্য নিজেকেই তৈরী করতে হয়। ভুল শুধরে ও সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে সবকিছু উজাড় করে দিতে হয়। যদি এসব করতে পারি তাহলে স্বপ্ন কেন দেখব না?" আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সৌদি আরবকে যে স্বপ্ন আজ রেনার্ড দেখালেন, ফুটবলকে নিয়ে তা হয়তো এর আগে কখনো সৌদি আরব দেখেনি। পাঁচ বার বিশ্বকাপের আসরে যোগ্যতা অর্জন করে একবারই গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে পেরেছিল সৌদি। এবার ফরাসি ট্যাকটিক্যাল জিনিয়াসের হাত ধরে তার থেকেও ভালো কিছু করার আশায় তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন