সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব পেয়ে বিশ্বকাপের আগে মাত্র দুই ম্যাচ পেয়েছিলেন ওয়ালিদ রেগরাগুই। তাতেই যেন বদলে গেলো দলের ছবি। ৩৬ বছর পরে আবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল মরক্কো। এর আগে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল আফ্রিকার দেশটি। সেটাই ছিল প্রথম ও শেষ বার।
গ্রুপ-এফ'এ মরক্কোর সঙ্গী ছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশ বেলজিয়াম, গতবারের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া এবং অপেক্ষাকৃত কম শক্তিধর দেশ কানাডা। এই গ্রুপ থেকে যে মরক্কো শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোতে যাবে তা কার্যত কল্পনাও করেননি ফুটবল বোদ্ধারা। কিন্তু রেগরাগুই-এর দল তা করে দেখিয়েছেন।
এখন বিশ্বকাপ জেতার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত মরক্কো। কোচ রেগরাগুই বিশ্বকাপ জয়ের প্রসঙ্গে বলেন,"বিশ্বকাপ জয়? অবশ্যই স্বপ্ন দেখি আমরা। আফ্রিকান দল হিসেবে কাউকে না কাউকে তো এই স্বপ্ন দেখতেই হবে। আর আমাদের হারানো হবে সবচেয়ে কঠিন।"
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। লুকা মড্রিচেরা পৌঁছে গিয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে। যদিও ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারতে হয় তাদের। এবার কি তেমন কিছুই দেখাতে চলেছে মরক্কো! আফ্রিকার দেশটি কি পারবে বিশ্বকাপ ঘরে তুলে বিশ্বকে চমকে দিতে। অপেক্ষা শুধু সময়ের।
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লুকা মড্রিচের ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করে মরক্কো। দ্বিতীয় ম্যাচে আশরফ হাকিমি, হাকিম জিয়েচরা ২-০ গোলে হারায় ইউরোপীয়ন পরাশক্তি বেলজিয়ামকে। বৃহস্পতিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ-এফ'র শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোতে যায় তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন